যানজটে বেড়েছে পুরান ঢাকায় ব্যবসার খরচ

পুরান ঢাকার ব্যবসা–বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব নিয়ে ঢাকা চেম্বার গতকাল এ সভার আয়োজন করে। তাতে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

নয়াবাজার–বাবুবাজার সড়কে যানজটফাইল ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, যানজটের কারণে রাজধানীর পুরান ঢাকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব প্রতিনিয়ত কমছে। একই সঙ্গে অসহনীয় যানজটের কারণে ওই এলাকায় ব্যবসার পরিচালন খরচও বেড়ে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ডিসিসিআই।

রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।

যানজটের এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বেশ কিছু প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার। এর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট ট্রাফিক পদ্ধতি চালু করা, পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করা, নদীপথের ব্যবহার বাড়ানো, ফুটপাত অবৈধ দখলদারমুক্ত করা এবং পুরান ঢাকার প্রধান সরু ও ব্যস্ত সড়কে একমুখী ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকার অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। নগরের জলাবদ্ধতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে।

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত কেরানীগঞ্জে নতুন বাণিজ্যিক নগর গড়ে তোলা হবে বলে জানান শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, একই সঙ্গে চকবাজার ও মতিঝিলকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটির উদ্বোধনের পর আর কেউ টার্মিনালের বাইরে বাস কাউন্টার স্থাপন করতে পারবে না। এ ছাড়া দোকানের সামনের হকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।