টিসিবির ডাল ও চিনির দাম বাড়ল

টিসিবি

একই কার্ডের অধীনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও খোলা বাজারে বিক্রি বা ওএমএসের খাদ্যপণ্য দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এখন টিসিবির পরিবার কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস থেকে মাসে ১০ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে। তবে সরকার চাইছে, দুটি কার্যক্রম এক করতে। যেহেতু দুটি আলাদা সংস্থা এখানে কাজ করছে, সেহেতু কাজটা সহজ হবে না। তবে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ডিসেম্বর মাসে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এদিকে টিসিবি আজ থেকে মসুর ডাল ও চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে পরিবার কার্ডধারীদের কাছে। ফলে এখন থেকে একজন ক্রেতাকে প্রতি কেজি ডাল ৭০ ও চিনি ৬০ টাকায় কিনতে হবে। এত দিন প্রতি কেজি ডালের দাম ছিল ৬৫ ও চিনির দাম ছিল ৫৫ টাকা। তবে সয়াবিন তেল আগের দামেই, লিটারপ্রতি ১১০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এই দফায় একজন ক্রেতার কাছে এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছে টিসিবি। সরকারের ভর্তুকি মূল্যের এসব পণ্য ৪২০ টাকা প্যাকেজে নিতে পারছেন পরিবার কার্ডধারীরা।

দুটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাখার বিষয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় সরকার দাম সমন্বয় করেছে। এতে সরকারের ওপর ভর্তুকির চাপ একটু কমবে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে এবার টিসিবির পেছনে মোট ৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হবে। তাতে মোট কেনাকাটা বাবদ খরচ আসবে ১ হাজার কোটি টাকার মতো।

এদিকে সরকার এসব পণ্যের সঙ্গে ছোলা ও খেজুর যোগ করে পবিত্র রমজান উপলক্ষে দুবার পণ্য দেওয়ার চিন্তা করছে বলেও জানান বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ ছাড়া রমজানের আগে আর কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমে এলে টিসিবি পণ্যের দাম কমাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে টিসিবি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসানসহ টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।