‘অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে এশিয়া’

গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এশিয়া অঞ্চল যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে।
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এশিয়া অঞ্চল যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে।  সংস্থাটি বলছে, করোনভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এশিয়া অঞ্চল বিশ্বের অন্য অঞ্চলের চেয়ে ভালো করেছে।

সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু টিলটন বলেন,  আমরা মনে করি যে ভারতের বাইরে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চল ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সেরা অবস্থানে রয়েছে। তবে চীনের ক্ষেত্রে ভোক্তা ব্যয় বেশ কমেছে বলে মনে করেন তিনি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ছাড়া কোনো দেশের সরকারি প্রণোদনা ব্যবস্থা সরাসরি আয় প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়নি। অবশ্য অভ্যন্তরীণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভালো ফলের কারণে চীনের সেবা খাতের কার্যক্রম ফিরে এসেছে। গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

টিলটন বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতিতে সত্যিই শক্তিশালী নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।  তবে বিশ্ব এখন আবার ভালো গতিতে ফিরেছে।

করোনার কারণে সংকটে বিশ্বের অনেক অর্থনীতি
ছবি: রয়টার্স

এদিকে গতকাল সোমবার শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংকটের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি। আগামী নভেম্বরে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে জরুরি সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে খুবই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে পরিস্থিতি। বিশ্বের শীর্ষ প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বিজনেস ২০ (বি-২০) এর চেয়ারম্যান ইউসুফ আল-বেনিয়ান বলেন, এক শতাব্দীর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি তার সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। তবে চ্যালেঞ্জিং সুযোগ তৈরি হয়েছে আরও ভালো করে গড়ে তোলার। সে জন্য নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ী নেতাদের জরুরিভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বি-২০ হলো জি-২০ জোটের একটি সংযুক্ত সংগঠন যা এই জোটের দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বক্তব্যকে উপস্থাপন করে। মহামারি-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে আরও শক্তিশালী করতে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সাহসী ও বিস্তৃত নীতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জি-২০ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, বাণিজ্য ও উত্তেজনা, নীতিগত অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক চাপ এবং আর্থিক দুর্বলতা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে মূল ঝুঁকি। কারণ ইতিমধ্যে সমাজ এবং অর্থনীতিতে করোনভাইরাসের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। জি -২০ জোটের আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে ২৫টি নীতিগত সুপারিশও করেছে বি-২০।