করোনায় মৃত কর্মীর ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর পরিবারকে বেতন দেবে টাটা

করোনায় মৃত কর্মী ও তাঁর পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের অনেক বেসরকারি সংস্থা। গতকাল সোমবার ভারতের অন্যতম বৃহৎ সংস্থা টাটা স্টিল জানিয়েছে, করোনায় কোনো কর্মচারীর মৃত্যু হলে তাঁর ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত (অর্থাৎ তাঁর অবসরের সময় পর্যন্ত) তাঁর পরিবারকে পূর্ণ মাসিক বেতন দেওয়া হবে।

সঙ্গে চিকিৎসা ও বসবাসসংক্রান্ত যে যে সুবিধা তিনি পেতেন, সবটাই তাঁর পরিবারকেও প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের সন্তানদের স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার সমস্ত দায়ভারও গ্রহণ করবে টাটা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ মহামারির সময় টাটা স্টিল তার প্রিয় কর্মচারীদের মৃত্যুতে শোকার্ত, তাতের এই সময়ে পাশে দাঁড়াতে চায়।
ওই টুইটবার্তায় টাটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি সামাজিক সুরক্ষা স্কিম চালু করা হচ্ছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। আর তাতে করোনায় মৃত কর্মীদের পরিবারের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে টাটা স্টিল। শুধু তা–ই নয়, দেশের অন্যান্য

বেসরকারি কোম্পানিকেও তারা অনুরোধ জানিয়েছে এভাবেই সবার পাশে দাঁড়ানোর।
ভারতের টাটা গোষ্ঠীর শিল্পপতি রতন টাটা কেবল সাফল্যই নয়, মানবিকতা ও বিনয়ের জন্যও সুপরিচিত। এর আগেও নানা মানবিক উদাহরণের জন্য সমাদৃত তিনি। আবারও সেই দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন।

আরও পড়ুন

ভারতে করোনার সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই চার হাজারেও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে দেশটিতে। ইতিমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। টাটায় কর্মরত অনেক কর্মীই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মারাও গেছেন অনেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নিল টাটা।

এর আগে গত সপ্তাহে আতিথেয়তা কোম্পানি ওয়ো রুমস জানায়, করোনায় মারা যাওয়া তাদের কর্মীদের পরিবারকে আট মাসের বেতন এবং তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য আগামী পাঁচ বছর সহায়তাসহ বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করবে। টুইটে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রিতেশ আগরওয়াল বলেন, ‘কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি, তবে আমি আশা করি যে এই উদ্যোগগুলো যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সমস্যাগুলো সহজ করতে সহায়তা করবে।’

আরও পড়ুন

শুধু এই কোম্পানি দুটিই নয়; আরও অনেকেই নানাভাবে এগিয়ে আসছে। করোনার ক্ষতি তীব্র আকার ধারণ করায় অনেক সংস্থায় মানবিক হচ্ছে। এই মাসের শুরুর দিকে, গ্লাস প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোরোসিল জানায়, কোভিডে মারা যাওয়া কর্মীদের পরবর্তী দুই বছরের জন্য বেতন প্রদান করবে তারা। একটি লিঙ্কডইন পোস্টে বোরোসিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রীবর খেরুকা জানান, তাঁর কোম্পানি মারা যাওয়া কর্মীদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করবে।