নতুন ছাঁটাই কর্মসূচি অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডে কোম্পানিটির সদর দপ্তরের আনুমানিক ৩০০ কর্মীকে এবার ছাঁটাই করা হতে পারে। গত বছর ফ্রান্সে সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাই করেছিল নকিয়া। কয়েক বছর ধরে প্রায় সব দেশে কোম্পানিটি কর্মী ছাঁটাই করে চলেছে।
নকিয়ার প্রধান নির্বাহী পেক্কা লান্ডমার্ক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সিদ্ধান্তগুলো কখনো হালকাভাবে নেওয়া হয় না। এই প্রক্রিয়ায় সবার প্রতি (যাঁদের ছাঁটাই করা হবে) কোম্পানির পক্ষ থেকে সহযোগিতা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে আমি অগ্রাধিকার দেব।’
গত বছর দায়িত্ব নেন পেক্কা লান্ডমার্ক। এরপর ৫–জি লক্ষ্য পূরণে বাধা হতে পারে, এমন বিষয়গুলো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন তিনি। সুইডেনের টেলিকম কোম্পানি এরিকসন এবং চীনের হুয়াওয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নকিয়ার পারফরম্যান্সকে বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্য তাঁর।
নকিয়া একসময় বিশ্বের বৃহত্তম হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক ছিল, তবে অ্যাপল-এর আইফোন এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সির মতো ইন্টারনেট ব্যবহারে উপযোগী টাচস্ক্রিন ফোনগুলোর জনপ্রিয়তা অনুমান করতে ব্যর্থ হয়েছিল এই কোম্পানি। পলে ধীরে ধীরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তীব্রভাবে হেরে যায় তারা।
তবে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস উপলক্ষে ‘এক্স’, ‘এক্স প্লাস’ ও ‘এক্সএল’ নামে অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টমাইজড সংস্করণের তিনটি ফোন উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ধরেই নকিয়া অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন আনবে বলে প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনা হচ্ছিল।