ভারতের অর্থনীতি ছয় মাস ধরে পুনরুদ্ধারের ধারায়


ভারতের অর্থনীতি ‘ভি শেপ’ বা ‘ভি আকার’ ধারণ করে আবার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ফিরেছে। ছয় মাস ধরেই চলছে এই প্রবণতা। লকডাউনসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় দেশটির অর্থনীতি গতি পেয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বিদায়ী ২০২০ সালের জুন থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাপক হারে কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই হয়ে ওঠার আশাবাদ জেগেছে।’

ভ্যাকসিনেশন বা টিকা এসে যাচ্ছে এমন খবরে বিশ্বব্যাপীই অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়েছে

অর্থনীতিবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকাশিত ‘ডিসেম্বর মাসে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভ্যাকসিনেশন বা টিকা এসে যাচ্ছে এমন খবরে বিশ্বব্যাপীই অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়েছে। প্রতিবেদনমতে, কোভিড-১৯ মহামারি আকার ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতেও তা কার্যকর উপায়ে মোকাবিলার পাশাপাশি লকডাউন শিথিল করায় ভারতের অর্থনীতি আবার ভি শেপ বা ভি আকার ধারণ করে পুনরুদ্ধার হচ্ছে

উল্লেখ্য, ব্যাপক পতনের পর অর্থনীতি যখন পুনরায় দ্রুতগতিতে ও সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে এবং টেকসই হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তখন সেটাকে ভি শেপ পুনরুদ্ধার বলে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি সেই আকারই ধারণ করছে, অর্থাৎ ভি শেপ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় চলছে।

আরও পড়ুন

ভারতের অর্থনীতিতে এখন কৃষি খাতই সবচেয়ে চাঙাভাবে আছে। এই খাত আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে।

এরই মধ্যে টু অ্যান্ড থ্রি হুইলার বা দুই ও তিন চাকার যানসহ যাত্রীবাহী গাড়ি এবং ট্রাক্টরের বিক্রি বেড়েছে। সার্বিকভাবে শিল্প উৎপাদন বাড়ছে। বিদায়ী বছরের অক্টোবরে তো শিল্প খাতে আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে। নভেম্বরে অবশ্য সিমেন্ট ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন কমেছে। তবে কয়লা, বিদ্যুৎ ও সার—এসব খাতে উৎপাদন বেড়েছে।

সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড