হঠাৎ করেই সুখবর দিল মার্কিন অর্থনীতি

  • হঠাৎ করেই সুখবর দিল মার্কিন অর্থনীতি। করোনার এই কালে এই প্রথম ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বেশ চাঙাভাব লক্ষ করা গেছে।

  • বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের ওই তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন কার্যক্রম গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।

  • জুলাই মাসে বাড়ি বিক্রি আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বাড়ির গড় বিক্রয়মূল্যও যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন কার্যক্রম গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
ছবি: রয়টার্স

হঠাৎ করেই সুখবর দিল মার্কিন অর্থনীতি। করোনার এই কালে এই প্রথম ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বেশ চাঙাভাব লক্ষ করা গেছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম ২০১৯ সালের প্রথম দিকের স্তরে পৌঁছেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের ওই তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন কার্যক্রম গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। গ্রাহক চাহিদা বাড়ায় সেবা খাতও ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জুলাই মাসে বাড়ি বিক্রি আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বাড়ির গড় বিক্রয়মূল্যও যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আর এসব সংবাদে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। বড় ধরনের উত্থান দিয়ে সপ্তাহ পার করেছে ওয়ালস্ট্রিট। গত শুক্রবার লেনদেনের শুরুতে কিছুটা নেতিবাচক ছিল সূচক। মূলত বেকার ভাতা আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে এমন সংবাদে প্রথমে সূচক কমতে দেখা যায়।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১ লাখের বেশি মানুষ বেকার ভাতার আবেদন করেছেন, যা গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেশি। তবে এরপরই ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ইতিবাচক পরিসংখ্যানের খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে সূচক। শুক্রবার ডাওজোন্স সূচক ২০০ পয়েন্ট বেড়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

ওয়ালস্ট্রিটে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের শেয়ারের দর বেড়েছে ৫ শতাংশ। এর মাত্র দুই দিন আগে শেয়ারের দর বেড়ে কোম্পানিটির বাজারমূল্য ২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। প্রথম মার্কিন কোম্পানি হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে অ্যাপল।

করোনা সংক্রমণের কারণে অ্যাপল চীনে তাদের আইফোন উৎপাদনকারী কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়, খুচরা বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায় রিটেইল শপগুলোয়। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা বাজারের অর্থনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ক্ষেত্রগুলো থেকে বেরিয়ে আসছেন। বর্তমান অবস্থায় নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের।