এসঅ্যান্ডপির পূর্বাভাস
ভারতের জিডিপিতে ৭% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস
ভারতের অর্থনীতি যেহেতু অভ্যন্তরীণ চাহিদানির্ভর, সেহেতু দেশটির ওপর বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থবিরতার তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস
ভারতের ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। সংস্থাটি গতকাল সোমবার এ পূর্বাভাস দেয়, যা তাদের এর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কম। গত সেপ্টেম্বরে আগে সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতিতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ও পরবর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ লুই কুইজ বলেন, ভারতের অর্থনীতি যেহেতু অভ্যন্তরীণ চাহিদানির্ভর, সেহেতু দেশটির ওপর বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থবিরতার তেমন প্রভাব পড়বে না। তিনি জানান, ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতিতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল বলছে, কিছু দেশে অবশ্য কোভিড-১৯–এর নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠলেও তাদের অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা আগামী বছরে ভারতের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
এসঅ্যান্ডপির মতে, চলতি অর্থবছরে ভারতে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এই বর্তমান অর্থবছরে শেষ নাগাদ, অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চের দিকে ভারতে নীতিনির্ধারণী সুদের হার বেড়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) গত তিন বছরে নীতিনির্ধারণী সুদের হার ১ দশমিক ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এতে নীতি সুদের হার বেড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় বছরের বেশির ভাগ সময়ই ভারতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যমূল্য বেশি ছিল। সর্বশেষ অক্টোবরে এসে মূল্যস্ফীতি কমেছে। খুচরা মূল্যস্ফীতি বা ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) কমে ৬ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে পাইকারি মূল্যসূচক (ডব্লুপিআই) গত ১৯ মাসের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশে নেমে আসে।