অস্ত্রসরঞ্জাম উৎপাদন কারখানা চালু করেছে আদানি গোষ্ঠী

এবার অস্ত্রসরঞ্জাম উৎপাদনে নাম লেখাল ভারতের আদানি গোষ্ঠী। উত্তর প্রদেশের কানপুরে গোলাবারুদ তৈরির কারখানা চালু করেছে ভারতের অন্যতম বড় এই শিল্পগোষ্ঠী। প্রায় ৫০০ একর জমিতে তৈরি প্রকল্পে কারখানা আছে দুটি। আদানি গোষ্ঠীর দাবি, এই প্রতিরক্ষা প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মোট তিন হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করে এই কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে। কারখানা দুটিতে চার হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারখানা দুটির সঙ্গে সম্পর্কিত সরবরাহকারীদের কল্যাণে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

২০২২ সালে উত্তর প্রদেশে অনুষ্ঠিত এক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রথম এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। সেই ঘোষণার পর দুই বছরও পেরোয়নি, এর মধ্যে অস্ত্রসরঞ্জাম উৎপাদন কারখানা চালু করে ফেলেছে আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস। এই কারখানার উদ্বোধন করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে এবং জিওসি-ইন-সি সেন্ট্রাল কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল এন এস রাজা সুব্রামানিয়াম।

অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘এখানে তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

ভারতের সেনাপ্রধান মনে করেন, বিগত কয়েক বছরে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি যতটা মোড় নিয়েছে, তাতে দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হতে ভারতের নিজস্ব গোলাবারুদ সরবরাহের মজবুত ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

এই প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন গৌতম আদানির ছেলে করণ আদানি। তিনি বলেন, কারখানা দুটি থেকে বছরে ১৫ কোটি রাউন্ড গোলাবারুদ উৎপাদিত হবে, যা ভারতের বার্ষিক চাহিদার এক-চতুর্থাংশ। এই কারখানায় ভারতের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর জন্য ছোট, মাঝারি ও দূরপাল্লার গোলাবারুদ উৎপাদিত হবে।