আদানির সম্পদমূল্য আবার ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

গৌতম আদানি

আবারও সম্পদমূল্য বাড়ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির। শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে গৌতম আদানির সম্পদমূল্য আবার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনে বিস্ফোরক অভিযোগ আসার এক বছর পর আবারও এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন আদানি।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারতের গৌতম আদানির বর্তমান সম্পদমূল্য ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এই তালিকায় বিশ্বের ধনীদের মধ্যে গৌতম আদানির অবস্থান এখন দ্বাদশ। এমনকি গতকাল তিনি দশম স্থানেও উঠে এসেছিলেন। সর্বশেষ অধিবেশনে তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন বা ১৫৯ কোটি ডলার। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে মোট ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার।

আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম টানা আট দিন বেড়েছে। গত সপ্তাহে এই কোম্পানির শেয়ারদর ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। মূলত আদানির কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদমূল্যও অনেকটা বেড়েছে।

আদানির এই সম্পদমূল্য বাড়ার বিশেষ তাৎপর্য আছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বিশ্লেষণকারী কোম্পানি হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়। তাদের অভিযোগ ছিল, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়াতে নানা ধরনের কারসাজি করা হয়েছে। এই অভিযোগের পর তাদের শেয়ারের দর কমে যায়। রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় আদানির সাজানো সাম্রাজ্যে। প্রায় ১০ হাজার ডলারের ক্ষতি হয় তাদের।

এর আগে ২০২২ সালে গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ১৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে এখনো ৫০ বিলিয়ন ডলার দূরে আছেন গৌতম আদানি। এদিকে সেই সময় ভারতের ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন তিনি, যদিও এখন তিনি মুকেশ আম্বানির ঠিক পেছনে দ্বিতীয় স্থানে আছেন।

মূলত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন গোষ্ঠী। শীর্ষ আদালত হিনডেনবার্গের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (সেবি) অভ্যন্তরীণ তদন্তে আস্থা রেখেছে। এর পর থেকেই বাড়তে শুরু করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গের ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠী ৪১৩ পৃষ্ঠার এক জবাব তৈরি করে হিনডেনবার্গের কাছে পাঠায়। তাতে বলা হয়, ভারতের আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে হিনডেনবার্গের স্পষ্ট ধারণা নেই। বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ কীভাবে করা হয়, সে বিষয়েও তাদের ধারণা কম। সে জন্য তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।