ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর সতর্ক হওয়া উচিত

ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য সতর্ক হতে বলেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেছেন, যেসব দেশের ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি, সেই দেশগুলো আরও চাপে পড়বে। তিনি শ্রীলঙ্কার নজির দিয়ে সবাইকে সতর্ক হতে বলেছেন। তাঁর শঙ্কা, ঋণগ্রস্ততার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো গত তিন দশকে যে উন্নতি করেছিল, তা উল্টে যাওয়ার শঙ্কা যেমন আছে, তেমনি তাদের আরও পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০-ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের এক সভায় ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এসব কথা বলেন।

জর্জিয়েভা বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ যদি বালির আকাশের মতো উজ্জ্বল হতো, তাহলে খুবই খুশি হতাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাস্তবতা তেমন নয়।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। অনিশ্চয়তা তুঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার বক্তব্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য ও পণ্যমূল্যে মারাত্মক চাপ পড়েছে। এই বাস্তবতায় বৈশ্বিক আর্থিক খাত আরও কঠোর হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোভিড এখনো শেষ হয়নি। কোভিডজনিত বিধিনিষেধ এখনো বিভিন্ন জায়গায় আছে। ফলে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলস্বরূপ এই মাসের শেষ দিকে আইএমএফ যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দেবে, সেখানে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ ও ২৩ উভয় বছরের জন্যই। মূল্যস্ফীতির চাপ তো আছেই। এ বাস্তবতায় নীতিগত পদক্ষেপ আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়েভা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা খুব জরুরি বলে তিনি মনে করেন।