আদানি উইলমারের সব শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী

আদানি উইলমার লিমিটেডে আদানি গোষ্ঠীর যত শেয়ার আছে, তার সবই বিক্রি করে দেবে গোষ্ঠীটি। ইকোনমিক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এই কোম্পানিতে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই শেয়ার বিক্রির জন্য একাধিক বহুজাতিক ভোগ্যপণ্য কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে আদানি গোষ্ঠী।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছে, চলতি মাসেই এই বেচাকেনার চুক্তি হয়ে যেতে পারে। আদানি উইলমার ফরচুন ভোজ্যতেল উৎপাদন করে।

এই কোম্পানিতে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক উইলমার ইন্টারন্যাশনাল। তাদের শেয়ারও সমপরিমাণ-৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আদানি গোষ্ঠী ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি ডলারে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার আশা করছে।
এ বিষয়ে আদানি গোষ্ঠী ও আদানি উইলমারকে ই-মেইল পাঠিয়েও জবাব পায়নি ইকোনমিক টাইমস।

গত মে মাস থেকে আদানি উইলমার কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। মে মাসে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৪৮৮ রুপি; গত শুক্রবার তা ৩১৭ রুপিতে নেমে এসেছে। ফলে কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৬ কোটি ডলারে।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত আদানি গোষ্ঠীর এক নির্বাহী ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, আদানি গোষ্ঠী এখন আরও বেশি মূল ব্যবসায় (অবকাঠামো) মনোযোগ দিতে চায়; সে কারণে অন্যান্য কিছু ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তারা। তার অংশ হিসেবে আদানি উইলমারের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এই শেয়ার বিক্রির অর্থ ঋণ পরিশোধে নয়, বরং গোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন সেই নির্বাহী।

ভারতের ভোগ্যপণ্যের বাজারে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার হচ্ছে আদানি উইলমার। গত অর্থবছরে এই কোম্পানি ৫৫ হাজার ২৬২ কোটি রুপি রাজস্ব আয় করে মুনাফা করে ৬০৭ কোটি রুপি।

আদানি গোষ্ঠী এখন কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বিক্রি করে হাতে নগদের আধিক্য রাখতে চাইছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে তাদের শেয়ারের দাম অনেকটা কমে যায়। এতে আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার কমে যায়। কোম্পানির কর্ণধার গৌতম আদানির ব্যক্তিগত সম্পদ মূল্যও কমে যায়। এর পর থেকে নানাভাবে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছে আদানি গোষ্ঠী।