এবার চীনের তহবিলে বিনিয়োগের অভিযোগ ভারতের সেবির প্রধানের বিরুদ্ধে
একের পর এক অভিযোগ উঠছে ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে। সেগুলো তিনি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, তিনি নাকি চীনের তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।
শনিবার ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করে বেশ কিছু বিষয় অভিযোগ করেছেন। প্রশ্ন আকারে সেসব অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
রমেশ বলেছেন, সেবির কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ বাজার নিয়ন্ত্রকের পদে থেকে গোপন তথ্য সম্পর্কে অবগত থেকে নথিভুক্ত শেয়ারে ৩৬ দশমিক ৯ কোটি রুপি লেনদেন করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি তা জানেন? তার চেয়ে বড় কথা, চীন-ভারত ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই তিনি চীনের তহবিলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছেন, এটাই কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানেন? ভারতের বাইরে যে তিনি বিনিয়োগ করেছেন, তার তথ্য কি তিনি প্রকাশ করেছেন? জয়রাম রমেশের দাবি, এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, মাধবী স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন।
গত দেড় মাসে বুচের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে; এতে তাঁর স্বামী ধবল বুচের নামও উঠে এসেছে। শনিবার এক্সে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, নতুন এই অভিযোগ থেকেই বোঝা যায়, অনেক কিছু এখনো অজানা।
আদানি কাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের পর অভিযোগ ওঠে, মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য থাকার সময়ে যখন মাহিন্দ্রার বিরুদ্ধে আনা মামলার বিচার হচ্ছিল, তখন তাঁর কোম্পানি আগোরা অ্যাডভাইজরি পরামর্শ সেবা দিয়ে মাহিন্দ্রার কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি নিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ব্যক্তিগতভাবে কয়েক কোটি রুপি পেয়েছেন মাধবীর স্বামী ধবল বুচ।
এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাধবীর বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাদের দাবি, ভ্যানগার্ড টোটাল স্টক মার্কেট ইটিএফ, এআরকে ইনোভেশন ইটিএফ, গ্লোবাল এক্স এমএসসিআই চায়না কনজ্যুমার ও ইনভেস্কো চায়না টেকনোলজি ইটিএফে বিনিয়োগ করেছেন মাধবী।
কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, সেবির কর্ণধার চীনের তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন, বিষয়টি উদ্বেগের। যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই জনসমক্ষে চীনকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেন, তখন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের চীনের তহবিলে বিনিয়োগ থাকা আশ্চর্যের নয়। আরও অভিযোগ, ২০১৭-২০২১ পর্যন্ত বিদেশে সম্পত্তি ছিল মাধবীর।
এর আগে আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিনডেনবার্গ অভিযোগ তোলে, আদানিদের যে কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেই অফশোর কোম্পানিতে গোপন অংশীদারি ছিল সেবির চেয়ারপারসন মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ উঠছে।