গতানুগতিক ব্যবসায় টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় বিশ্বের ৪৫% শীর্ষ নির্বাহী

গতানুগতিক ধারায় ব্যবসা চালালে সেই ব্যবসা এক দশকের বেশি টিকবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা (সিইও)। বৈশ্বিক পরামর্শ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকিপারস বা পিডব্লিউসি বৈশ্বিক শীর্ষ নির্বাহী জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্বের ১০৫টি দেশ ও অঞ্চলের ৪ হাজার ৭০২ সিইওর ৪৫ শতাংশ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

জরিপের ফলাফলে প্রকাশ করে আজ মঙ্গলবার পিডব্লিউসি বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক (৪৫ শতাংশ) সিইও মনে করেন, প্রযুক্তি ও জলবায়ুর চাপ দ্রুত বৃদ্ধিতে তাঁদের ব্যবসা পুনর্নির্মাণ ছাড়া এক দশকের বেশি সময় টিকতে পারবে না। তবে জরিপে অংশ নেওয়া ৩৯ শতাংশ সিইও আশা প্রকাশ করেছেন, তাঁদের কোম্পানির কর্মীর সংখ্যা ২০২৪ সালে ৫ শতাংশ বা এর বেশি বৃদ্ধি পাবে।

পিডব্লিউসির ২৭তম এই জরিপের অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন সিইও বলেছেন, জলবায়ুবান্ধব বিনিয়োগের জন্য মুনাফার হারে ছাড় দিতে সম্মত আছেন তাঁরা। এসব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা এটাও মনে করেন, গত পাঁচ বছরের তুলনায় আগামী তিন বছরে প্রযুক্তি, জলবায়ু ও অন্যান্য মেগা ট্রেন্ডে তাঁরা বেশি চাপের মুখোমুখি হবেন। জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ সিইও আশা করেন, জেনারেটিভ এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) আগামী তিন বছরে তাদের কোম্পানির মূল্য সংযোজন পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।

তবে সিইওদের একটি অংশ আশা করছে, বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার অনুপাত গত বছরের ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি বছর ৩৮ শতাংশ হবে। যদিও গত বছরের তুলনায় নিজেদের কোম্পানির আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা কম আত্মবিশ্বাসী এসব সিইও।

পিডব্লিউসির গ্লোবাল চেয়ারম্যান বব মরিটজ বলেন, ব্যবসায়িক নেতারা ম্যাক্রোইকোনমিক (সামষ্টিক অর্থনৈতিক) চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কম উদ্বিগ্ন হচ্ছেন। বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে আশাবাদ বাড়লেও সিইওরা গত বছরের তুলনায় নিজেদের কোম্পানির রাজস্ব সম্ভাবনা নিয়ে কম আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত বিস্তার বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো সামনে নিয়ে তাঁদের ব্যবসা গড়ে তুলতে হবে।