চীনে মার্কিন প্রযুক্তি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়ল

চীনের প্রযুক্তিগত উত্থানের রাশ টেনে ধরতে নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় নিরাপত্তার নামে চীনের কাছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর চিপ ও চিপ তৈরির উপকরণ রপ্তানিতে যে বিধিনিষেধ আগে থেকে আছে, এবার তা নবায়ন করেছে বাইডেন প্রশাসন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে এই বিধিনিষেধের নিয়ম-কানুন প্রণয়ন করে বাইডেন প্রশাসন। মূলত এর লক্ষ্য হচ্ছে, এনভিডিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক চিপ যেন চীনের হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়, এই উন্নত প্রযুক্তি চীনের হাতে গেলে সে দেশের সামরিক বাহিনী তা ব্যবহার করতে পারে।

নবায়ন করার পর এই বিধিনিষেধের আকার দাঁড়িয়েছে ১৬৬ পৃষ্ঠা। এতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, যেসব চিপ চীনে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেই সব চিপসংবলিত ল্যাপটপও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সময় সময় এই নিষেধাজ্ঞা হালনাগাদ করা হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামানায় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সাল থেকে চীনের সঙ্গে রীতিমতো প্রযুক্তি যুদ্ধ শুরু করে। দেশটির প্রযুক্তি খাতের রাশ টানতে এবং মার্কিন প্রযুক্তি যেন চীনের সামরিক বাহিনীর হাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে চীনের কাছে সেমিকন্ডাক্টর ও এর উপকরণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

মার্কিন সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চিপ বানাতে চীনের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কৌশল করছে। জানা গেছে, চীনের বেশ কিছু সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন কোম্পানি এখন মালয়েশিয়ার কিছু কোম্পানিকে দিয়ে উচ্চ প্রযুক্তির চিপের একাংশ সংযোজন করাচ্ছে।