ভারতের চাল রপ্তানি বিধিনিষেধের সমালোচনা করল যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

চাল

অভ্যন্তরীণ মজুত ধরে রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চাল রপ্তানির ওপর ভারত সরকারের আরোপ করা বিধিনিষেধের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা। দেশগুলো ভারতের ওই সিদ্ধান্তকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, এতে চাহিদা রয়েছে, এমন অঞ্চলে খাদ্যের প্রভাব বাধাগ্রস্ত করবে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কৃষি কমিটির গত বুধবারের এক সভায় জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক খাদ্য বাজারের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তার কারণ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বের ৪০ শতাংশ চাল রপ্তানি করে ভারত।

ভারত গত জুলাইয়ে বাসমতী ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরের মাস অর্থাৎ আগস্টে সেদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করে দেশটির সরকার। যদিও এই বিধিনিষেধের কারণ হিসেবে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিষয়টিকে সামনে আনা হয়।

গত বুধবারের সভার বিষয়ে জেনেভাভিত্তিক এক কর্মকর্তা জানান, সদস্য দেশগুলো যুক্তি দিয়ে বলেছে, এই ধরনের ব্যবস্থা চাল আমদানিতে অধিক নির্ভরশীল দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে এই সংকটের সময়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে দেশটি দাবি করছে, চলতি অর্থবছরে ভারত রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন করবে। তাদের পূর্বাভাষ, ভারত চলতি অর্থবছরে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টন চাল উৎপাদন এবং ৩ কোটি ৬০ লাখ টন মজুত করবে।

এ প্রসঙ্গে জেনেভাভিত্তিক ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চার রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

যদিও ভারত বলেছে, ১৪০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে বিধিনিষেধ দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ আগাম বার্তা না দেওয়ার সমালোচনাও করেছে। এ বিষয়ে ভারতের যুক্তি হচ্ছে, চালের বাজারে ব্যবসায়ীদের কারসাজি এড়াতে কোনো আগাম বার্তা দেয়নি দেশটি।