যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ ও চিংড়ি রপ্তানির বাধা সরাতে চায় ভারত, ফেরত চায় জিএসপি

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যাতে ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলোর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা দ্রুত করে, সে জন্য জোর তাগাদা দেবে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতের প্রাকৃতিক চিংড়ি রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তা–ও তুলে নিতে অনুরোধ জানানো হবে।

আগামীকাল শুক্রবার ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়া-ইউএস ট্রেড পলিসি ফোরামের বৈঠকে দিল্লি এসব বিষয় আলোচনায় তুলবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই। এর আগে এক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য ও প্রযুক্তি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ভারত নিজেদের জন্য আবারও জিএসপি সুবিধা চাইবে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে। জিএসপি সুবিধা পেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের পণ্য রপ্তানি বাড়বে। ভারতের রপ্তানিকারকেরা ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা পেয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ আখ্যা দিয়ে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাইডেন প্রশাসন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারতকে জিএসপি সুবিধা ফেরত দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাথরিন টাইয়ের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুশ গয়ালের বৈঠকের সময় এই বিষয় জোরালোভাবে উঠে আসবে।

ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের এপ্রিল-অক্টোবরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৯ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি দেশ দুটি বাণিজ্য বাধা অপসারণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।

ভারত সরকার দেশকে বিশ্বের ওষুধ জোগানদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের সবুজসংকেত তাদের জন্য খুব প্রয়োজন। সেটা পেলে ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ বিক্রি করতে পারবে, এটাই তাদের অগ্রাধিকার। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে কর্মকর্তারা নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আনার তাগিদ দিয়েছেন; নিরীক্ষা মূলত ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণজনিত।

কোভিড-উত্তর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের সফর কমে যাওয়ায় তদন্ত ও নিরীক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওষুধের শীর্ষ রপ্তানি বাজার হওয়ায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চায়, দ্রুত এসব নিরীক্ষা হয়ে যাক।