সৌদি আরবের হাতে আসতে পারে হিথরো বিমানবন্দরের ২৫% শেয়ার

ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের সিংহভাগ শেয়ার সৌদি আরবের হাতে চলে আসতে পারে। ব্লুমবার্গের সূত্রে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হিথরো বিমানবন্দরের একাধিক শেয়ারহোল্ডার তাঁদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার চিন্তা করছেন। এই শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নিতে পারে সৌদি আরব।

স্পেনের ফেরভিয়াল এসই গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে জানায়, তাদের হাতে থাকা হিথরো বিমানবন্দরের শেয়ারের ২৫ শতাংশ শিগগিরই বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও বিনিয়োগ কোম্পানি আরদিয়ান এ শেয়ার কিনতে রাজি হয়েছে।

এ শেয়ারের সম্ভাব্য দাম হতে পারে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার। তবে মরগ্যান স্ট্যানলি প্রাথমিকভাবে এর চেয়ে অনেক কম প্রাক্কলন করেছিল। তাদের মূল্যায়নের চেয়ে অন্তত ৭০ শতাংশ বেশি মূল্যে এই কেনাবেচা হতে যাচ্ছে।

হিথরো বিমানবন্দরে যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে সেগুলো হলো কাতার, চীন ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সার্বভৌম তহবিল। এরা শেয়ার বিক্রি করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কুইবেক, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সুপারঅ্যানুয়েশন স্কিমের মতো বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারে।

এ বিষয়ে পিআইএফ, আরদিয়ান, সিডিকিউপি ও ইউএসএসের সঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়া যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কিউআইএ ও অস্ট্রেলিয়ান রিটায়ারমেন্ট ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

সৌদি আরব তার অর্থনীতি বদলানোর চেষ্টায় আছে। দাহরানের সমতল ভূমির নিচে ১৯৩০-এর দশকে তেলের আবিষ্কার বেদুইনদের দেশ সৌদি আরবকে পাল্টে দিয়েছিল। রাজতন্ত্রশাসিত গভীর ধর্মবিশ্বাসের দেশটির হাতে তখন চলে আসে ‘কালো সোনা’, যার দুনিয়াকেই পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু সেই ক্ষমতার কোনো নিশ্চয়তা আজ আর নেই।

সৌদি আরব এখন অর্থনীতির বহুমুখীকরণ করছে। তার অংশ হিসেবেই বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করছে দেশটি। দেশটির সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ সালমান বিন মোহাম্মদ এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর পরিকল্পনার শিরোনাম ভিশন ২০৩০। এর মাধ্যমে এই দশকের শেষ নাগাদ সৌদি আরব তিনটি লক্ষ্য অর্জন করতে চায়। এক. এমন অর্থনীতি তৈরি করা, যা আর তেলের ওপর নির্ভরশীল নয়। দুই. প্রায় চার কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন; তিন. বিশ্বমঞ্চে দেশটির অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখা।