অবশেষে ব্যবসায় জোট আদানি–আম্বানির

গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিছবি: রয়টার্স

ভারতের মধ্যপ্রদেশে গৌতম আদানির মালিকানাধীন একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২৬ শতাংশ অংশীদারত্ব কিনছেন দেশটির আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। এর ফলে ভারতের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শতকোটিপতির (বিলিয়নিয়ার) মধ্যে এটাই হতে চলেছে প্রথম কোনো অংশীদারি ব্যবসায়িক উদ্যোগ। ভারতের শেয়ারবাজারে কোম্পানি দুটির দেওয়া আলাদা আলাদা ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাহান এনারজেন লিমিটেডের ৫ কোটি শেয়ার কিনে নেবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ১০ রুপি অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে এ শেয়ার কিনবে রিলায়েন্স। তাতে এসব শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৫০ কোটি রুপি। এ বিনিয়োগের বিপরীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা ব্যবহার করবে রিলায়েন্স।

আম্বানি ও আদানি উভয়েই ভারতের গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা। দেশটির শীর্ষ ধনীর তালিকায় তাঁদের নাম পিঠাপিঠি থাকে। শুধু ভারতেই নয়, এশিয়ায় শীর্ষ সম্পদশালীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য তাঁদের মধ্যে বছরের পর বছর প্রতিযোগিতা হয়।

অতীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ ও মতামতে এ দুই ব্যবসায়ীকে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে এবার সে ধারণায় ছেদ পড়ল। চলতি মাসের শুরুতে গুজরাটের জামনগরে আম্বানির ছোট ছেলে অনন্তের প্রাক্‌-বিবাহ অনুষ্ঠানেও আদানি উপস্থিত ছিলেন।

মুকেশ আম্বানির ব্যবসা প্রধানত তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রি ও টেলিকম খাতে বিস্তৃত। আর গৌতম আদানির ব্যবসা কার্যক্রম চলছে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, কয়লা ও খনি পরিকাঠামোতে। খুব কম ক্ষেত্রে তাঁরা একে অপরের ব্যবসায়িক পথ অতিক্রম করেছেন।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত; যেখানে উভয়ই কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি (বিদ্যুৎ) উৎপাদনকারী হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন আদানি। সোলার মডিউল, উইন্ড টারবাইন ও হাইড্রোজেন ইলেকট্রোলাইজার তৈরির জন্য তিনটি বৃহৎ (গিগা) কারখানা তৈরি করছে আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি। অন্যদিকে আম্বানি গুজরাটের জামনগরে চারটি গিগা কারখানায় সৌর প্যানেল, ব্যাটারি, সবুজ হাইড্রোজেন ও ফুয়েল সেল বানাবেন।