স্থূলতা কমানোর পরীক্ষামূলক ওষুধে ২৪ শতাংশ ওজন কমেছে

স্থূলতা কমানোর ওষুধে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত ওজন কমছে

যুক্তরাষ্ট্রে ওজন কমানোর ওষুধে ভালো কাজ হয়েছে। এলি লিলির পরীক্ষামূলক এক ওষুধে দেখা গেছে, এক বছর নির্দেশিত মাত্রায় এ ওষুধ সেবনের পর কারও কারও ওজন ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। স্থূলতার চিকিৎসায় এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ।

এলি লিলির ওষুধের মধ্যবর্তী পরীক্ষায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে। খবর সিএনবিসির।

মোট ৩৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মোটা ও স্থূল মানুষের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়। তাঁদের একাংশকে এলি লিলির ওজন কমানোর ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, আরেক অংশকে দেওয়া হয়েছে প্লাসেবো বা ওষুধের মতো দেখতে কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ট্যাবলেট।

এই ইনজেকশনের নাম রিটাট্রুটাইড। যাঁরা ১২ মিলিগ্রাম ডোজে এই ইনজেকশন নিয়েছেন, তাঁদের ওজন কমেছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৪১ পাউন্ড। গড়ে ২৪ সপ্তাহে তাঁদের এ ওজন কমেছে। আর যাঁরা প্লাসেবো খেয়েছেন, তাঁদের ওজন কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

আর যাঁরা ৪৮ সপ্তাহ নির্দেশিত মাত্রায় রিটাট্রুটাইড নিয়েছেন, তাঁদের ওজন কমেছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ বা ৫৮ পাউন্ড। একই সময়ে যাঁরা প্লাসেবো সেবন করেছেন, তাঁদের ওজন কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ।

গবেষণায় অংশ নেওয়া গবেষকেরা বলেন, এমনকি ৪৮ সপ্তাহ পরও অনেকের ওজন কমতে দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আরও বড় পরিসরে এই সমীক্ষা চালানো হলে ভিন্ন ফল পাওয়া যেতে পারে। এলি লিলি সম্প্রতি তৃতীয় স্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের ভর্তি শুরু করেছে।

মাইকেল ওয়েইনট্রব নামের এক এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট টুইট বার্তায় বলেছেন, এলি লিলির এই রিটাট্রুটাইড এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত সবচেয়ে কার্যকর স্থূলতা প্রতিরোধী ওষুধ।

এ ছাড়া এলি লিলির আরেকটি স্থূলতা প্রতিরোধী ওষুধ মৌনজারো টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ সেবনে অনেকের ২১ শতাংশ পর্যন্ত ওজন কমেছে।

এ ছাড়া ওজন কমানোর জন্য নভো নরডিস্কের উইগভি নামের ওষুধ অনুমোদন লাভ করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ সেবনে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ওজন কমে।

ওইগভি ও মৌনজারোর মতো এলি লিলির রিটাট্রুটাইড সাপ্তাহিক ইনজেকশন। এই ওষুধ সেবনে মানুষের খাওয়া কমে যায়, অর্থাৎ একধরনের হরমোনজনিত পরিবর্তন নিয়ে আসে এই ওষুধ।

রিটাট্রুটাইড ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত তিন ধরনের হরমোনের অনুকরণে তৈরি। সেগুলো হলো জিএলপি-১, জিআইপি ও গ্লুকাগোন। এ কারণে মানুষের ক্ষুধা ও খাদ্য সন্তোষের ওপর অধিকতর কার্যকর প্রভাব পড়ে।