অক্টোবরে নেতিবাচক, নভেম্বরে ইতিবাচক

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে। পরের দুই মাস সেটি অব্যাহত থাকার পর অক্টোবরে আবার কমে যায়। এক মাসের ব্যবধানে আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে পণ্য রপ্তানি। গত নভেম্বরে ৩০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল বৃহস্পতিবার পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস, অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে ১ হাজার ৫৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর সময়ে মোট পণ্য রপ্তানি ৮১ শতাংশ পোশাক খাত থেকে এসেছে। পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ২৮৯ কোটি ডলারের। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৫ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় ৩৬ শতাংশ বেশি।

চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ৩৫ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ কম।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে ২৩ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৪৪ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, ২০ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৪৪ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে প্রকৌশল পণ্যে সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।