অর্থ পাচার আইনের লঙ্ঘন, রেকর্ড জরিমানা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংককে

অর্থ পাচার বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করায় রেকর্ড জরিমানা গুনতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক ওয়েস্টপ্যাককে।
ছবি: রয়টার্স

অর্থ পাচার বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করায় রেকর্ড জরিমানা গুনতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক ওয়েস্টপ্যাককে। আইন লঙ্ঘন করায় ব্যাংকটিকে গুনতে হবে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছর অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক অপরাধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায় ব্যাংকটি ১ কোটি ৯০ লাখ  আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিষয়ে যথাযথ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি লেনদেন শিশু নির্যাতনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এই লঙ্ঘনের জন্য ক্ষমা চেয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থাটি। এই জরিমানা দিলে ওয়েস্ট প্যাক হবে দ্বিতীয় বড় ব্যাংক যারা অর্থ পাচার আইন এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অর্থ আইন লঙ্ঘন করল। আদালতে যদি এই জরিমানার বিষয়টি অনুমোদন পায় তাহলে এটি হবে দেশটির করপোরেট খাতের সবচেয়ে বড় দেওয়ানি দণ্ড।

এমনকি জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়তেও বাড়ে।

গত বছর এই কেলেঙ্কারি ফাঁসের পর ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। অবশ্য গত বছর স্ব প্রণোদিতভাবে এই প্রতিবেদন অস্ট্রেলিয়ান ট্রানজেকশন রিপোর্টস অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেন্টারের (অস্ট্রাক) কাছে দেয় ব্যাংকটি। জরিমানা হতে পারে এমনটা জানিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের তদন্তের বিষয়টিও জানায় তারা।

আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী পিটার কিং জানায়, এই ভুল যাতে না হয় তাই সবকিছু ঠিক করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। ব্যাংকটি জানায় আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা চলছে।

ব্যাংকটি যা করেছে তা হলো আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যথাসময়ে নিয়মমতো নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেনি। অস্ট্রাক জানায় এমন অনিবন্ধিত লেনদেন বেশি হয়েছে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার। অস্ট্রাক বলছে ব্যাংকটি রেকর্ড রাখতে এবং সম্ভাব্য উচ্চ-ঝুঁকি নির্ণয়েও ব্যর্থ হয়।