‘অর্থনীতির জরুরি অবস্থা কেবল শুরু’

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেছেন, অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা মাত্র শুরু হয়েছে। তিনি সতর্ক করে আরও বলেছেন, মহামারির কারণে প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান স্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হবে।

এর আগে সরকারি পূর্বাভাসে বলা হয়, ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক পতন হতে পারে।  

করোনার কারণে এ বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ১১ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি ২০২২ সালের আগে আর কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন আশঙ্কার কথাও বলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনদিনই বাড়ছে সরকারের ঋণের বোঝা।

আগামী বছরের মাঝামাঝি কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ বেড়ে যাবে। যার মানে দাঁড়ায় বেকারত্বের হার বেড়ে হবে সাড়ে ৭ শতাংশ, যা ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সর্বোচ্চ।

এ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সেবার জন্য কত ব্যয় হবে, তা নির্ধারণ করে সুনাক বলেছেন, সরকার একটি ‘অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, জনগণের কর্মসংস্থান ও আয় রক্ষার জন্য সরকার নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তা এখনো অব্যাহত আছে। এই স্কিমগুলো আগামী মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অর্থ হলো আরও তিন লাখ মানুষের কর্মহীন থাকা।

সুনাক জানান, আগামী বছর থেকে সরকারি ১৩ লাখ কর্মীর বেতন আর বাড়ছে না। তবে এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা যোগ হবেন না। চ্যান্সেলর বলেন, বেসরকারি খাতের অনেকেই যখন তাঁদের বেতন-ঘণ্টা কাটতে দেখেছেন, তখন এই বৃদ্ধির ন্যায্যতা তিনি দিতে পারেন না। তবে স্বল্প বেতনের সরকারি কর্মীদের আগামী বছর কমপক্ষে ২৫০ ডলার বেতন বাড়ানোর গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।