অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি শ্রীলঙ্কায়

অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।
ছবি: রয়টার্স

অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। দেশটিতে খাদ্যমূল্যের দাম বাড়ায় ব্যাপক দরপতন হয়েছে মুদ্রার। আর এ কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই এ জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, মৌলিক খাদ্যপণ্যগুলোর সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ তারা এখন নিজেদের কাছে নিয়ে নেবে। এই মৌলিক খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল ও চিনি। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে একটি নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেবে। চলতি বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে সাড়ে ৭ শতাংশ কমেছে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার দর।

একজন সাবেক জেনারেলকে সরকার অপরিহার্য সেবার কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছে। ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে থাকা মজুত জব্দ করার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাঁর ওপর।

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন, অনুমোদিত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর মজুত ক্রয় করবেন। এরপর দামে ছাড় দিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নেবেন।

চিনি, পেঁয়াজ ও আলুর মতো মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার পরই এ ঘোষণা দেয় সরকার। এগুলো ছাড়া গুঁড়া দুধ, কেরোসিন, রান্নার গ্যাসসহ অন্যান্য পণ্যের ঘাটতির কারণে বিভিন্ন দোকানের বাইরে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যায় দেশটিতে।

আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগ বলেছে, গত বছরের তুলনায় অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বৈদেশিক মুদ্রার হারের বৃদ্ধি। দপ্তর জানিয়েছে, আগস্টে গত মাসের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৬ শতাংশ। প্রধানত খাবারে দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে কারফিউ চলছে। গত সোমবার থেকে ১৬ দিনের জন্য এ কারফিউ জারি হয়েছে।