আনুষ্ঠানিক মন্দায় নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি

১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দায় পড়েছে নিউজিল্যান্ড।
ছবি: রয়টার্স

১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দায় পড়েছে নিউজিল্যান্ড। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় অন্যতম সফল দেশ হলেও অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে পারেনি তারা। জুন প্রান্তিকে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন রেকর্ড ১২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। মূলত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নেওয়া লকডাউন কর্মসূচি ও সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণেই অর্থনীতি এতটা সংকুচিত হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সাধারণত পরপর দুই প্রান্তিকে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হলে অর্থনীতি মন্দায় পড়েছে বলে বলা হয়। নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিও পরপর দুই প্রান্তিকে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখল।

করোনার কারণে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় বেশির ভাগ অর্থনীতিই সংকুচিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ৭ শতাংশ, কানাডার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ২০ দশমিক ৪ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

অবশ্য এ বিষয়ে আগে থেকে আশঙ্কা করছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। তারা জিডিপি ১১ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এ ছাড়া দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে চলতি বছরে অর্থনীতি ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
করোনার কারণে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় বেশির ভাগ অর্থনীতিই সংকুচিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ৭ শতাংশ, কানাডার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ২০ দশমিক ৪ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৯ মার্চ সীমান্ত বন্ধ করে নিউজিল্যান্ড। জুন প্রান্তিকের পুরোটা সময়ই সীমান্ত বন্ধ ছিল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুচরা বিক্রয়, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ও পরিবহন খাত। দেশে দেশে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাতিল হওয়ার সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ খাতগুলোতে। তবে দেশটির খাদ্য পানীয়, শিল্প খাতে উৎপাদন তেমন কমেনি।