আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যে চাঙাভাব

গত বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ব পণ্য বাণিজ্য তলানিতে ঠেকেছিল। তবে সেখান থেকে বেশ দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) গুডস ট্রেড ব্যারোমিটার অনুসারে, বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষ মাস অর্থাৎ মার্চে বিশ্ব পণ্য বাণিজ্যের মান ১১০ দশমিক ৪। অর্থাৎ বৈশ্বিক সাধারণ ধারার ওপরে অবস্থান করছে পণ্য বাণিজ্যের এই সূচক। এদিকে ডব্লিউটিও বলেছে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৮ শতাংশ।

২০২০ সালের শেষ প্রান্তিক থেকেই পণ্য বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। চলতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার যা দাঁড়িয়েছে, তা ২০১১ সালের ওই প্রান্তিকের পর সর্বোচ্চ। ফলে ব্যাপারটা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তবে এ ক্ষেত্রেও বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া বাণিজ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু অন্যান্য অঞ্চল পিছিয়ে আছে। আর ব্যারোমিটারে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।

ব্যারোমিটার সূচকটির উপসূচকগুলো হচ্ছে রপ্তানি আদেশ, গাড়ি বিক্রি, কনটেইনার জাহাজীকরণ, বিমানে পণ্য পরিবহন, ইলেকট্রনিক পণ্য ও কাঁচামালের ব্যবসা। তাতে দেখা গেছে, প্রতিটি উপসূচকের মান ১০০-এর ওপরে। অর্থাৎ এসব খাতের তৎপরতা স্বাভাবিক প্রবণতার চেয়ে বেশি। তবে রপ্তানি আদেশের সূচকের মান আগের প্রান্তিকের চেয়ে কিছুটা কম। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, রপ্তানির সূচক চূড়ায় পৌঁছেছে।

২০২০ সালের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে। সংকোচন হয়েছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৮, ১৪ দশমিক ৮ ও ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হারে। তবে চতুর্থ প্রান্তিকেই তা আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। সেবার প্রবৃদ্ধি হয় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।