আবারও অনুদান দিলেন ম্যাকেঞ্জি স্কট

ম্যাকেঞ্জি স্কট

বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় আরও ২৭০ কোটি ডলার দান করেছেন ম্যাকেঞ্জি স্কট। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির এখন পর্যন্ত দান করা অর্থের পরিমাণ ৮৫০ কোটি ডলারের বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টে ম্যাকেঞ্জি লেখেন, যারা ঐতিহাসিকভাবে উপেক্ষিত ও অর্থবিহীন, তাদের এই অর্থ প্রদান করতে করতে চান তিনি। তিনি জানান, এই অর্থ প্রদানের জন্য তিনি জাতিগত বৈষম্য, কৃষ্টি ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করে—এমন ২৮৬টি সংস্থা বেছে নিয়েছেন।

ম্যাকেঞ্জি স্কট হলেন বিশ্বের অন্যতম নারী শীর্ষ ধনী। ১৯৯৪ সাল থেকে আমাজন প্রতিষ্ঠার জন্য বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। বিচ্ছেদ চুক্তি অনুযায়ী আমাজনের ৪ শতাংশ শেয়ার পান তিনি। ওই সময় এই শেয়ারের আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। তবে এই অর্থের বড় অংশ দানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

গত বছর ম্যাকেঞ্জি স্কট জীবিত ব্যক্তি হিসেবে বছরে সবচেয়ে বেশি দান করেছেন। ফোর্বসের হিসাবে এত দানের পরেও ৫১ বছর বয়সী ম্যাকেঞ্জি এখনো বিশ্বের ২২তম ধনী। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে তিনি বিল গেটস. মেলিন্ডা গেটস ও ওয়ারেন বাফেটের দাতব্য জোট ‘গিভিং প্লেজ’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে বিচ্ছেদ থেকে পাওয়া সম্পদের বেশির ভাগই দান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ম্যাকেঞ্জি স্কট।

কিছুদিন আগে সিয়াটলের বিজ্ঞান শিক্ষক ড্যান জুয়েটকে বিয়ে করেছেন ম্যাকেঞ্জি স্কট। বিয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম দানের ঘোষণা।

নতুন করে এই দিনের পর নিঃশর্ত দানের গুরুত্ব তুলে ধরে ম্যাকেঞ্জি বলেন, এই প্রয়াস এটা ভেবেই পরিচালিত হয়েছে যে অপ্রয়োজনীয় সম্পদ অল্প সংখ্যক হাতে কেন্দ্রীভূত করা ঠিক নয়। যাঁরা সামনে থেকে কোনো আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়ছেন, আমরা বিশ্বাস করি, ফলপ্রসূ সমাধানের রাস্তা তাঁরাই ভালো জানেন। তাই তাঁরা যেভাবে যেখানে ভালো মনে করেন, সেইভাবেই যেন অর্থ ব্যয় করতে পারেন আমরা তাঁদের সেটাই উৎসাহিত করছি।’

গত বছরের জুলাই মাসে ১৭০ কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। এরপর চার মাসেই ৪২০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছেন।