আবারও ম্যাক্স ৭৩৭ নিয়ে বিপাকে বোয়িং

ছবি: রয়টার্স

ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজ নিয়ে আবারও বিপাকে পড়েছে বোয়িং। ২০ মাস পর গত বছরের নভেম্বরে পুনরায় উড্ডয়নের অনুমতি পায় মার্কিন জায়ান্ট এই বিমান সংস্থার ম্যাক্স ৭৩৭। তবে ৬ মাস যেতে না যেতেই আবার ত্রুটি ধরা পড়েছে এ মডেলে। আর তাই তদন্তের মুখে পড়েছে ম্যাক্স ৭৩৭।

গত মাসে এ মডেলের উড়োজাহাজে নতুন করে বৈদ্যুতিক সমস্যার আবিষ্কার হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে ২৪টি বিমান সংস্থার ১০০টির বেশি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়। অনেকেই এ উড়োজাহাজের অর্ডার বাতিল করেছেন।

বোয়িং ও মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলছে, তারা এ সমস্যার সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বোয়িং এবং এফএএ বলছে, নতুন উৎপাদিত ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ পরীক্ষার সময় সমস্যাটি প্রথম ধরা পড়ে। দেখা যায়, উড়োজাহাজের বৈদ্যুতিক সিস্টেমগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না। তবে বিমানগুলো এখনো ডেলিভারি দেওয়া হয়নি।

এফএএর মতে, এটি ত্রুটি ইঞ্জিন ঠান্ডা হওয়ার সুরক্ষাসহ কিছু নির্দিষ্ট সিস্টেমের কাজকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে অব্যাহত নিরাপদ বিমান অবতরণ সম্ভব না–ও হতে পারে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি ফ্লাইট, যেটি ছিল বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজ, আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আছড়ে পড়ে জাভা সাগরে। এর প্রায় ৫ পাঁচ মাস পর ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িংয়ের এ মডেলের একটি উড়োজাহাজ আকাশে উড়েছিল কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উদ্দেশে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আদ্দিস আবাবা থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে এক শহরের কাছে সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে।

দুই ঘটনাতেই ফ্লাইটে থাকা সব যাত্রীর মৃত্যু হয়। পাঁচ মাসের কম সময়ের মধ্যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ আরোহী নিহত হওয়ার পর বিশ্বের অধিকাংশ এয়ারলাইনস ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ উড়োজাহাজ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। পড়ে আবারও সব ঠিকঠাক করে গত নভেম্বরে প্রায় ২০ মাস বসিয়ে রাখার পর আবারও আকাশে উড়ে ৭৩৭ ম্যাক্স।