এক মিনিটে বিক্রি ৬৩ কোটি ডলার!

ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফ্রাইডে মানেই হচ্ছে উচ্ছ্বাস আর কেনাকাটার ধুম। প্রতিবছর এই দিনটিতে এই ছাড়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে মানুষ। এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে অনলাইনে কেনাকাটা নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। ওয়েবসাইট কেনাকাটাবিষয়ক গবেষণা সংস্থা অ্যাডব অ্যানালেটিকসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেড়েছে ২২ শতাংশ। মূলত কোভিড–১৯–এর কারণে বেশি মানুষ ঘরে বসেই কেনাকাটা পছন্দ করছে।

অ্যাডব জানিয়েছে, থ্যাংকস গিভিংয়ের পরদিন গ্রাহকেরা অনলাইনে ৯ বিলিয়ন ডলারের কেনাকাটা করেছেন। যার মাধ্যমে এ বছরের ব্ল্যাক ফ্রাইডে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন কেনাকাটা দিবসে পরিণত হয়েছে।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে। এটা নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার থ্যাংকস গিভিংয়ের পরদিন। এর নামকরণের পেছনে অনেক গল্প রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, ১৮৬৯ সালের দিকে আমেরিকায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। সেই সময় মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য একটি বিশেষ দিবসের কথা ভেবেছিলেন ব্যবসায়ীরা।

ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁরা পণ্যে বিশেষ ছাড় দেন। ওই ছাড়ে তাঁদের অনেক লস হয়। পরে দিনটি ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এ ছাড়া থ্যাংকস গিভিং ও ব্ল্যাক ফ্রাইডের পর প্রথম সোমবার সাইবার মানডে হিসেবে পালিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর ‘সাইবার মানডে’ সর্বকালের বৃহত্তম ডিজিটাল বিক্রয় দিবসে পরিণত হবে। এ বছর আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বিক্রি বাড়বে।

অ্যাডব জানায়, এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডের দিন অনলাইনে ফোন, স্মাট ডিভাইস, টিভি কেনার পাশাপাশি নিত্য পণ্যও ব্যাপক কিনেছে মানুষ। ওই দিন প্রতি মিনিটে অনলাইনে ৬৩ কোটি ডলারের বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৩৪২ কোটি টাকার সমান। সেই হিসাবে গড়ে একজন ব্যক্তি প্রতি মিনিটে ২৭ দশমিক ৫০ ডলার ব্যয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি হয়েছে স্মার্টফোন বিক্রি। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ফোন বিক্রি হয়েছে, যা এই ই–কমার্স কেনাকাটার ৪০ শতাংশ।