এলন মাস্কের বোনাসই কেবল এত

একজন চাকরিজীবী মানুষ আসলে কত বোনাস পেতে পারেন। লাখ টাকা? কোটি টাকা? এ হিসাব বড় বড় কর্মকর্তার জন্য খাটলেও এলন মাস্কের জন্য খাটে না। এ বছর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক যে বোনাস তুলেছেন, তা শুনলে মাথা চক্কর দিতে পারে। ২৭ কোটি ডলার, যা কিনা টেসলার পুরো বার্ষিক মুনাফার এক-তৃতীয়াংশ। এর মাধ্যমে আরও মজবুত হয়েছে এলনের শীর্ষস্থান।  

এই বোনাস কোম্পানিটির চার হাজার কোটি ডলার বোনাস পরিকল্পনার অংশ, যা শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেওয়ার কথা হয়েছে। গত বছর টেসলার বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৭০০ শতাংশ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ কোটি ডলারের এই বোনাস কোম্পানি বার্ষিক মুনাফার ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে ব্যাপক লোকসানে ছিল টেসলার, সাড়ে ৮৬ কোটি ডলার। তা কাটিয়ে বিদায়ী বছরের টেসলার মুনাফা হয়েছে ৭২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। যদিও ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ১২৫ কোটির মতো মুনাফা আসবে টেসলার।

চতুর্থ প্রান্তিকে শেয়ার বাবদ কিছু ক্ষতিপূরণ ব্যয় হওয়ায় এবং ২০১৮ সালের প্রধান নির্বাহী পুরস্কারের জন্য তাদের ব্যয় বেশি হয়েছে। এ জন্য কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জিত হয়নি।

চলতি বছরের শুরুতে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজনের জেফ বেজোসকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হন এলন মাস্ক। মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ফুলেফেঁপে পাহাড়সমান হয়েছে বিদায়ী বছরে। অথচ ওই বছরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টেনেটুনে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ছিলেন তিনি। তবে মাত্র ১২ মাসে সেই সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি ডলার। টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদাই এই সম্পদ বৃদ্ধির বড় কারণ। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারেও তরতর করে বেড়েছে শেয়ারের দর।