করোনার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না চীনের প্রবৃদ্ধিতে

বিদায়ী বছরের শেষ প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে রয়টার্সের এক জরিপে উঠে এসেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। পরের তিন মাসে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে দেশটির।

৪৬ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই জরিপ করেছে তারা। করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে বড় অর্থনীতির মধ্যে কেবল চীনই নিজেদের সামলে নিয়েছিল দ্রুত। প্রবৃদ্ধিতে নেই করোনার প্রভাব।

হুবেই প্রদেশের উহানে করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর সংক্রমণ মোকাবিলায় কঠোর সব পদক্ষেপ নেয় চীন। পদক্ষেপের কারণেই সবার আগেই সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ফিরে এসেছে প্রবৃদ্ধির ধারায়। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি সংকুচিত হয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, শেষ প্রান্তিকে চীনের এই ভালো অবস্থান এটাই ইঙ্গিত দেয় যে ২০২১ সালটিও ভালো যাবে। তবে কেউ কেউ সতর্ক করে বলছেন, চীনের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো সামনের মাসের চান্দ্রবর্ষ উৎসব। ওই সময় অভ্যন্তরীণ পরিবহন এত বেশি বাড়ে যে সংক্রমণ আবার বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চীনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

গত মাসে চীন নেতারা এ বছর অর্থনীতির জন্য ‘প্রয়োজনীয়’ নীতি সমর্থন বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ই গ্যাং গত সপ্তাহে বলেন, ২০২১ সালে তাঁরা স্থিতিশীল মুদ্রানীতিকে অগ্রাধিকার দেবেন। তিনি আরও বলেন, প্রণোদনাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার যেকোনো পদক্ষেপই অর্থনীতিতে সামান্য প্রভাব ফেলবে।