পুনরুদ্ধারে চমক দেখাচ্ছে চীন
গত ১৯ মাসের মধ্যে এই অক্টোবরে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমদানিও। গতকাল শনিবার দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অক্টোবরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। রপ্তানির ওপর ভর করে বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ বেড়েছে ৫৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে প্রাপ্তি। তাঁরা আশা করেছিলেন অক্টোবরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ, বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকবে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বরে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ৯ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর যা ছিল সাড়ে ৩০ বিলিয়নের মতো।
করোনার এই সময়ের রপ্তানিতে বেশ ভালো অবস্থানে আছে চীন। চিকিৎসাসামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা এবং অনেক দেশের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি চীনের পক্ষে কাজ করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং প্রত্যাশা উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী গতিবেগকেই ইঙ্গিত করে। এর মূল কারণ করোনার সংক্রমণ দ্রুত কমিয়ে এনে দেশটি বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া কোভিড–সম্পর্কিত পণ্য, যেমন: মাস্ক ও চিকিৎসাসরঞ্জাম তৈরিতে দ্রুত এগিয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ বছরটা চীন এই শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
আমদানি গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এ বছরে বেড়েছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে আমদানি কমেছে। সেপ্টেম্বরে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা বেশ অপ্রত্যাশিতই ছিল। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, শক্ত বাণিজ্য অবস্থান চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।