গেটস ফাউন্ডেশন থেকে কি সরে যাচ্ছেন মেলিন্ডা

ছবি: রয়টার্স

দুই মাস হয়ে গেছে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। সম্পর্ক ভাঙলেও দাতব্য কাজে একসঙ্গে থাকবেন এমনটাই জানান তারা। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যান হিসেবে দুজনের অবস্থান ঠিক থাকবে। তবে যদি তাঁরা একসঙ্গে কাজ না করেন, তাহলে কী হবে এই ফাউন্ডেশনের, এ প্রশ্ন এখনো অনেকের মনেই দানা বাঁধছে। আর তাই তাঁরা যদি একসঙ্গে চেয়ারম্যান হিসেবে না থাকেন, কীভাবে চলবে প্রতিষ্ঠান, তার একটি বিকল্প পরিকল্পনা দিয়েছে দ্য গেটস ফাউন্ডেশন।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর পর গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যেতে পারেন মেলিন্ডা গেটস। গেটস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই দুই বছর তাদের বিকল্প পরিকল্পনার ট্রায়াল হবে। বলা হয়েছে, তিনি পদত্যাগ করলেও নিজের জনহিতৈষী কাজের জন্য বিল গেটসের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ‘রিসোর্স’ পাবেন। তা হবে ফাউন্ডেশনের অনুদান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

মেলিন্ডা গেটস বলেছেন, সংস্থাটি যা অর্জন করেছে, তার জন্য তিনি গভীরভাবে গর্বিত। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি ফাউন্ডেশনের মিশনে গভীরভাবে বিশ্বাস করি এবং এর কো–চেয়ারম্যানের পদে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’

দ্য গেটস ফাউন্ডেশন সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির মতো জনহিতৈষী উদ্যোগের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। গত দুই দশকে দারিদ্র্য এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে এই ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে ব্যয় করেছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি ডলার।

দুই বছরের এই পরীক্ষামূলক সময়ে ট্রাস্টি হিসেবে থাকবেন মেলিন্ডা গেটস। অবশ্য গতকাল বুধবার একটি ব্লগপোস্টে ঘোষণা করা হয়, ফাউন্ডেশনের কাজ তদারকির জন্য নতুন ট্রাস্টি নিয়োগ করা হবে।

সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সুজম্যান জানিয়েছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও জানান, যদি দুই বছর পর মেলিন্ডা পদত্যাগ করেন, তাহলে এসব কাজের জন্য বিল গেটসের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সম্পদ পাবেন মেলিন্ডা। এর সঙ্গে ফাউন্ডেশনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

গত ২৩ জুন বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান বোর্ড সদস্য মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। ফাউন্ডেশনটির তিনজন বোর্ড সদস্যের একজন তিনি। এক বিবৃতিতে বাফেট লেখেন, ‘ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমার শারীরিক উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই।’

বাফেটের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ফাউন্ডেশনটি নতুন করে সংকটে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এর মধ্যে আবার গুঞ্জন উঠেছে মেলিন্ডার সরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে। এ অবস্থায় তাই বিকল্প পরিকল্পনা নিচ্ছে ফাউন্ডেশন।