চীনে এখন সপ্তায় সপ্তায় দ্রব্যমূল্য বাড়ে

ছবি: রয়টার্স

সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রতি সপ্তাহেই খাদ্যসহ নানা পণ্যের মূল্য বেড়েছে চীনে। এ অবস্থায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির সরকার প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খাবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

দেশটিতে ৩০টি পণ্যের দামের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে এসব পণ্যের প্রতি কেজির দাম স্থানীয় মুদ্রায় ৫ দশমিক ৯৯ ইউয়ানে উঠেছে (প্রতি পাউন্ড ২ দশমিক শূন্য ৬ মার্কিন ডলার), যা মাত্র এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ দিন ২৬ অক্টোবর প্রতি কেজি সবজির গড় দাম ছিল ৪ দশমিক ৩৯ ইউয়ান (প্রতি পাউন্ড ১ দশমিক ৫১ ডলার)।

চায়না রেনেসাঁর সামষ্টিক ও কৌশলগত গবেষণাপ্রধান ব্রুচ পেং বলেন, চীনে এখন মূল্যস্ফীতির চাপ রয়েছে। অন্যান্য দেশ তাদের মুদ্রানীতি কঠোর করে ফেলেছে। এই অবস্থায় চীনের জন্য মুদ্রানীতি সহনশীল করার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, চীনকে বর্তমান স্ট্যাগফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আর্থিক ও শিল্পনীতির মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করতে হবে। ব্রুচ পেঙ আশা করেন, চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪ থেকে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

অর্থনীতিতে স্ট্যাগফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতির অর্থ হচ্ছে, একদিকে পণ্যমূল্য বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হচ্ছে। এর পরিণতিতে উচ্চ বেকারত্ব দেখা দেয় এবং মানুষের ভোগব্যয়ের সক্ষমতা কমে যায়।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে গত ৩১ অক্টোবর সমাপ্ত সপ্তাহে সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, মাংস ১০ দশমিক ৬ শতাংশ ও মুরগির ডিম ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ক্ষমতাসীন চায়না কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় পত্রিকা পিপল’স ডেইলির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী আগের সপ্তাহে দেশটিতে খাদ্যপণ্যের দাম ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ব্যাপারে সিএনবিসি যোগাযোগ করলেও চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সূত্র: সিএনবিসি