চীনের অর্থনীতি এগোচ্ছে, তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়

ছবি: রয়টার্স

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পেয়েছে চীন। আজ সোমবার দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে দেশটির খুচরা বিক্রয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে এর পরও বিশ্লেষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। কারণ এই বৃদ্ধি যা প্রত্যাশা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম। গণমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রয়টার্সের বিশ্লেষকেরা আশা করেছিলেন এপ্রিলে গত বছরের তুলনায় চীনের খুচরা বিক্রয় বাড়বে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। কারণ মার্চে খুচরা বিক্রয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছিল ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ সে হিসাবে বৃদ্ধিটা এপ্রিলে বেশ কম।

চীনের বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন পুনরুদ্ধার এখনো ভারসাম্যপূর্ণ নয়। কর্মসংস্থান, পরিবারগুলোর আয়, ভোগ, শিল্প খাতে বিনিয়োগ, সেবা খাত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে পারেনি।

অন্যদিকে এজেডএন অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চীনের বয়স্ক জনসংখ্যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে আঘাত করতে পারে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্যাটারিং, যার মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এপ্রিলে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মার্চ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছিল ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই চার মাসে অনলাইনে ভোগ্যপণ্য বিক্রি বেড়েছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। অথচ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ তিন মাসে এই বৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ। শুধু এপ্রিলে কত হয়েছে তা বলা হয়নি।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক মুদ্রানীতি প্রতিবেদনে পিপলস ব্যাংক অব চীন উল্লেখ করেছে যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ভিত্তি এখনো দৃঢ় নয় এবং গ্রাহক ব্যয়ও সীমাবদ্ধ রয়েছে।

এপ্রিলে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার কমেছে, দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ভ্রমণ, অবকাশ ও বিনোদন খাতে কর্মসংস্থান অনেক বেড়েছে। তবে সপ্তাহে গড় কর্মঘণ্টা কমেছে। মার্চের ৪৬ দশমিক ৯ ঘণ্টা থেকে কমে ৪৬ দশমিক ৪ ঘণ্টা হয়েছে। ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার এখনো অনেক বেশি, ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।