‘চড়’ মারার জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছিলেন বস, ইলনের প্রতিক্রিয়া

ফেসবুক ব্যবহার করায় মনীশ শেঠিকে চড় মারছেন কারা
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ফেসবুক ব্যবহার অনেক সময় মানুষের একদম নেশা হয়ে যায়। দেখা যায়, কারণে-অকারণে, বাড়িতে-রাস্তায় যেখানেই থাকা হোক না কেন, মুঠোফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে একটু ঢুঁ মারা হয়। এতে যেমন ক্ষতি হয় কাজকর্মের, তেমনি উৎপাদনশীলতার। আর এমনটা যে ঘটছে, তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন মনীশ শেঠি।

মার্কিন ডিভাইস কোম্পানি প্যাভলকের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ২০১২ সালে বুঝতে পারছিলেন, ফেসবুক ব্যবহারের কারণে তাঁর কাজের খুব ক্ষতি হচ্ছে। আবার এ নেশা কাটাতেও পারছিলেন না ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মনীশ। আর তাই এ নেশা কাটানোর এক অভিনব উপায় বের করলেন তিনি। এর জন্য এক কর্মী নিয়োগ দিলেন, যিনি কিনা তাঁকে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেখলেই গালে কষে একটা চড় বসাবেন। কারা নামের এক নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয় এ কাজের জন্য। তাঁর বেতন ধরা হয় ঘণ্টায় ৮ ডলার। তাঁর কাজ ছিল মনীশের আশপাশে থাকা এবং তাঁকে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেখলেই গালে চড় দেওয়া।

মনীশ সে সময় বিষয়টি তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন। কারা তাঁকে চড় মারছেন, এমন একটা ছবিও যোগ করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, এখন তাঁর কাজের উৎপাদনশীলতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফেসবুক ব্যবহার না করার কারণে তাঁর উৎপাদনশীলতা বেড়েছে ৯৮ শতাংশ।

মনীশ শেঠির ওই ছবি সম্প্রতি টুইটারে কারও পোস্টের মাধ্যমে আবার সামনে উঠে এসেছে, যা চোখে পড়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের। টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক টুইটারে মনীশ শেঠির ওই ছবিতে দুটি ফায়ার ইমোজি দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন । এই ইমোজি মূলত ‘চমৎকার’ বা ‘আশ্চর্যজনক’ কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। মাস্কের ওই প্রতিক্রিয়ার প্রায় ১০ হাজার ‘লাইক’ পড়ে। তবে ইলনের ওই ফায়ার ইমোজি মনীশকে কিছুটা চিন্তায়ও ফেলেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না, ইলন মাস্ক আসলে তাঁকে কী বলতে চেয়েছেন? আর সে কথা তিনি জানিয়েছেন ইলনের শেয়ারের নিচে মন্তব্য করে। তবে ইলন কোনো জবাব দেননি।

সূত্র: এনডিটিভি