জাপানের সঙ্গে হলো যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট–পরবর্তী প্রথম বড় চুক্তি

যুক্তরাজ্য ও জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের প্রথম বড় চুক্তি।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্য ও জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের প্রথম বড় চুক্তি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চুক্তির বিষয়টি নিয়ে গত মাসেই আলোচনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাপানের গাড়ির ওপর ব্রিটিশ শুল্ক অপসারণ করার বিনিময়ে জাপানে এর প্রায় সমস্ত পণ্যের রপ্তানি শুল্কমুক্ত হবে। যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক লিজ ট্রস এটিকে একটি ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং চুক্তি’ বলে অভিহিত করেন। তবে সমালোচকেরা এতটা খুশি হচ্ছেন না। তাঁরা বলছেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যের জিডিপি কেবল শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বাড়াবে। অর্থাৎ ইইউর সঙ্গে যে বাণিজ্য হারিয়েছে, তার সামান্য একটু অংশ।

দুই দেশ সেপ্টেম্বরেই একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছেছিল। এই চুক্তি যুক্তরাজ্য ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে।

জাপানের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে তার বিদ্যমান বিনিয়োগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি পরামর্শক মিনাকো মরিটা-জায়েগার

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি পরামর্শক এবং সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউকে ট্রেড পলিসি পর্যবেক্ষণের সহযোগী মিনাকো মরিটা-জায়েগার বলেন, জাপানের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে তার বিদ্যমান বিনিয়োগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিবেচনায় যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত একটি বিস্তৃত বিনিয়োগের অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করে জাপানি বিনিয়োগে সুরক্ষা দেওয়া।

তিনি আরও যোগ করেন, জাপান সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বিশ্বে অন্যতম দেশ। ২০১৮ সালে মোট বিনিয়োগের ১৪ শতাংশই ছিল জাপানের।