ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে টিকটক

  • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক।

  • ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশ অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টিকটক ইউএসের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।

  • টিকটক কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই এমন আশঙ্কাকে ভিত্তিহীন বলে আসছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। ট্রাম্প সম্প্রতি টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। আদেশ অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টিকটক ইউএসের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে।

সম্প্রতি মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে চীন। তবে টিকটক কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই এমন আশঙ্কাকে ভিত্তিহীন বলে আসছে। তারা বলছে, এই অ্যাপ চীন সরকারের নিয়ন্ত্রিত নয় এবং তারা চীন সরকারের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে না। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের প্রতি মাসে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা আট কোটি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তিক্ততা আরেক ধাপ এগিয়ে নিল।

টিকটক বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এক বছর ধরে কাজ করার চেষ্টা করছে তারা। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং প্রশাসনের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে তারা। এই প্রশাসন সত্যের দিকে মনোযোগ দেয় না। কোম্পানির একজন মুখপাত্র জানান, আইনের শাসন বর্জন না করা এবং আমাদের সংস্থা ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা উচিত। তা নিশ্চিত করতেই বিচারিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই কার্যনির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া উপায় নেই। চলতি সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

টিকটক ইউএসের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স ছাড়াও উইচ্যাটের মালিক টেনসেন্টের সঙ্গেও সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকানরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেন।

টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের প্রধান কার্যালয় বেইজিংয়ে এবং এটি চীনে জনপ্রিয় হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনাও বেড়েছে। টিকটকের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির কয়েকজন সিনেটর এর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ভারত গত ৩০ জুন টিকটক, উইচ্যাটসহ চীনা ৫৯টি অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেয়। নয়াদিল্লি এসব অ্যাপকে দেশের জন্য বিপজ্জনক অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ১৫ জুন লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হওয়ার পর দিল্লি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।