ট্রাম্পের রাগ কমাতে এবার এগিয়ে এল আলিবাবা

  • আলিবাবার প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল জাং বলেছেন, এই অনলাইন খুচরা বিক্রেতার নীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের স্বার্থের সঙ্গে পুরোপুরি একত্র।

  • গত বছরের তুলনায় জুনে শেষ হওয়া তিন মাসে আলিবাবার বাণিজ্য ব্যবসায় বিক্রয় বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।

  • চলতি বছর কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে আলিবাবার।ছবি: রয়টার্স

চীনা কোম্পানির ওপর চোটপাট করেই যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিচ্ছেন হুমকির ওপর হুমকি। তাঁর এই উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে এবার মাঠে নেমেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবা। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল জাং বলেছেন, এই অনলাইন খুচরা বিক্রেতার নীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের স্বার্থের সঙ্গে পুরোপুরি একত্র। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে আলিবাবার। এরপরই নতুন এই নীতির কথা জানাল তারা।

ট্রাম্প জানান, মার্কিন যেসব কোম্পানি বিদেশ থেকে চাকরি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এ মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ট্রাম্প প্রশাসনের তথাকথিত ‘ক্লিন নেটওয়ার্ক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে আলিবাবা, টেনসেন্ট, বাইদুসহ চীনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ও ম্যাসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট বন্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের পর এ কথা বলেন পম্পে। ৭ আগস্ট টিকটকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ওই দিন উইচ্যাটের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের সঙ্গে লেনদেন বন্ধেও একই ধরনের আদেশ দেন তিনি।

চীনভিত্তিক দুটি টেক জায়ান্টের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, তারা চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য পাচার করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ দুটি অ্যাপকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার স্বার্থে টিকটকের মালিকদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আলিবাবা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে আলিবাবার প্রাথমিক বাণিজ্যিক লক্ষ্য হলো মার্কিন ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা, ছোট ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মার্কিন ও চীনা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

ড্যানিয়েল জ্যাং বলেন, ‘আমরা চীনা কোম্পানির প্রতি মার্কিন নীতির সর্বশেষ পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব সাবধানতার সঙ্গে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করছি। কোনো নতুন বিধি এলে তা মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

গত বছরের তুলনায় জুনে শেষ হওয়া তিন মাসে আলিবাবার বাণিজ্য ব্যবসায় বিক্রয় বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। চলতি বছর কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। করোনার কারণে এ বছর বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে আস্থা পাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী ঘরবন্দী থাকা মানুষ স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে নিতে প্রযুক্তি অনলাইন কেনাকাটার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।