তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী দেশের ৪০ শতাংশ রাজস্ব কমাবে সবুজ জ্বালানি

জীবাশ্ম জ্বালানির থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য ‘সবুজ’ জ্বালানির দিকে ঝুঁকলে অনেক তেল–গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ বড় আকারের রাজস্ব আয় হারাবে। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কার্বন ট্রাকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তি ব্যবহারের এই স্থানান্তর হলে তেল–গ্যাস উৎপাদনকারী অনেক দেশ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আয় হারাবে।

হিসাব করে দেখা যায়, ২০৪০ সাল নাগাদ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো যে রাজস্ব হারাবে, এর পরিমাণ ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় এসব দেশকে তাদের কৌশল পাল্টাতে হবে বলে মনে করে কার্বন ট্রাকার। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৪০ সাল পর্যন্ত তেলের চাহিদা থাকবে, এমনটা যেসব তেল উৎপাদনকারী দেশ ভাবছে, তাদের জন্য এটি একটি সংকেত। সংস্থাটি সতর্ক করে বলছে যে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কারণে চাহিদা কমে যেতে পারে। তেলের উৎপাদনকারীরা যা প্রত্যাশা করছেন, তার চেয়েও তেলের দাম কম হবে। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ থাকলে দেশগুলোর রাজস্বের কী হবে, তা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে।

সরকারি আয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল দেশগুলোকে পেট্রোস্টেট বলা হয়। প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য, এমন ৪০টি পেট্রোস্টেট যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তা তুলে ধরা। এই দেশগুলোর তেল ও গ্যাসের দাম কমায় রাজস্বের গড় ক্ষতি হবে ৪৬ শতাংশ।

কিছু দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি তেল ও গ্যাসনির্ভর। ইরাকের রাজস্বের ৮০ শতাংশই আসে তেল থেকে। সৌদি আবরের ৬০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু দেশ রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে খুব বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। অ্যাঙ্গোলা, আজারবাইজানসহ সাতটি দেশের জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ৪০ শতাংশ হতে পারে। সৌদি আরব, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়াসহ আরও ১২ দেশের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।