তেলের সরবরাহ বাড়াতে সম্মত ওপেক

অবশেষে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে ও দাম হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। মহামারির এ সময়ে তেলের দাম বেড়ে আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে এসেছে। তাই এ অবস্থায় আগস্ট থেকে উৎপাদন বাড়াবে তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক ও রাশিয়া। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

নতুন চুক্তির আওতায় ওপেক ও এর মিত্ররা বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তার জন্য ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন আরও ২০ লাখ ব্যারেল সরবরাহ বাড়িয়ে দিতে সম্মত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, রাশিয়া, কুয়েত, ইরাকসহ কয়েকটি দেশ ২০২২ সালের মে মাস থেকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়াবে।

চলতি বছর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৪ ডলার। গত বছর করোনার সময় বিশ্বব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি নেওয়ায় তেলের চাহিদা ব্যাপক কমে যায়। সে সময় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ওপেক ও তার মিত্ররা দৈনিক এক কোটি ব্যারেল উৎপাদন কমানোর চুক্তিতে যায়, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের ১০ শতাংশ। তবে এ বছর করোনা থাকলেও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ অনেক দেশেই শিথিল হয়েছে। জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে।

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের শুরু থেকে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ বাড়ানোর গুঞ্জন চলছে। মাসের শুরুতে রপ্তানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক জোট ওপেক এবং এর বাইরের রপ্তানিকারক দেশগুলোর তেলমন্ত্রীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক চার লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। গত বছর তেল উৎপাদন সীমিত রাখার যে চুক্তি হয়েছিল, তার মেয়াদ আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাদে ওপেকের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এই চুক্তির মেয়াদ আরও লম্বা সময়ের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা তাদের তেল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে চায়।