দরিদ্র দেশের জন্য ঋণ মওকুফ পদক্ষেপ নিতে হবে: বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি কিছু দেশে ঋণ সংকট সৃষ্টি করতে পারে, তাই বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই কিছুটা স্বস্তি দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর মধ্যে ঋণ বাতিল করার মতো বিষয়ও থাকতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডেভিড মালপাস বলেন, এটা স্পষ্ট যে কিছু দেশ যারা ঋণ নিয়েছে তারা তা পরিশোধ করতে অক্ষম। আমাদের অবশ্যই ঋণের স্তর  কমাতে হবে। একে ঋণমুক্তি বা বাতিলও বলা যেতে পারে। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে পুনর্গঠন করে ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।

মালপাস বলেন এর আগেও আর্থিক সংকটের সময় একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেমন ১৯৯০ সালে লাতিন আমেরিকার অস্থিতিশীল ঋণপ্রাপ্ত দেশগুলির জন্য ‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশ’ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত এপ্রিলে উন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০ সিদ্ধান্ত নেয়, করোনামহামারির কারণে দরিদ্র দেশগুলোর কাছ থেকে এই বছর ঋণ আদায় স্থগিত রাখবে। তবে জি-২০ দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার উদ্যোগ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত ৭৩ টি দেশের মধ্যে মাত্র ৪২টি এতে অংশগ্রহণে সম্মত হয়েছে। এতে মাত্র ৫৩০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। যদিও জি-২০ এর প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার সাশ্রয়।

এদিকে এর আগেও মালপাস ঋণ মওকুফের বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সর্বশেষ মন্তব্য আবারও বিনিয়োগকারীদের প্রতি সেই আহ্বান জানালেন তিনি। এ ছাড়া গত আগস্টে সতর্ক করেছিলেন যে মহামারি প্রায় বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

মালপাস বলেন, বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট করছে না এবং আমি তাদের নিয়ে হতাশ। এ ছাড়া, কিছু বড় বড় চীনা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। এই কারণে সহায়তা ব্যবস্থাগুলোর প্রভাব কমে যাচ্ছে। মালপাস আরও বলেন, কিছু উন্নয়নশীল দেশ ইতিমধ্যে দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি পড়েছে।