ফেসবুকের বাজার মূলধন বেড়েছে

ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে ফেসবুকের সদর দপ্তর
ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে ফেসবুকের সদর দপ্তর

সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ফেসবুকের বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের মনস্তাত্ত্বিক সীমা অতিক্রম করেছে। এই অর্থ বাংলাদেশের ১৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার সমান।
প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলের চেয়ে কম সময়ে ফেসবুকের বাজার মূলধন ২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বদৌলতে এটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পুরোনো ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইবিএম, ইনটেল ও ওরাকলের পাশাপাশি টয়োটা, কোকা-কোলা ও ব্যাংক অব আমেরিকার মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টপকে গেল। এটি এখন বহুজাতিক ব্যাংক হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) পাশে অবস্থান করছে।
বিজ্ঞাপন বাবদ আয় বৃদ্ধি ও ভিডিও ব্যবসা জোরালো হয়ে ওঠার সুবাদে ফেসবুকের বাজার মূলধনে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। সেই সুবাদে এটি বিশ্বের ২২তম বৃহত্তম কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
এই সামাজিক নেটওয়ার্ক মাধ্যমের মূল অ্যাপ্লিকেশনটি সব ধরনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এর আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি ওয়ালস্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে এটির শেয়ার কিনছেন।
ফেসবুক ২০১২ সালে যখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তখন পরিস্থিতি তেমন ভালো ছিল না। তখন এর প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৮ ডলার; যা আড়াই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে গত সোমবার ৭৭ দশমিক ৮৯ ডলারে উঠেছে। ফলে এটির মোট বাজার মূলধন ২০ হাজার ৯০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই দিনে অবশ্য গুগলের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৪০ কোটি ডলার।
গুগল ২০০৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও ছেড়ে পুঁজিবাজারে আসে। তিন বছর পর ২০০৭ সালের অক্টোবরে সেটির বাজার মূলধন দাঁড়ায় ২০ হাজার কোটি ডলার। ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট দেখা দিলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে, যে কারণে গুগলের বাজার মূলধন ২০ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে যায়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আবার ওই সীমা অতিক্রম করে। তবে ২০১২ সাল পর্যন্ত এভাবে ওঠানামা চলে।
গত দুই বছরে গুগলের বাজার মূলধন ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ফেসবুকের বাজার মূলধন বেড়েছে এর চার গুণেরও বেশি, ৩৩০ শতাংশ।
ফেসবুকের মতো এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও তরতর করে বাড়ছে। ব্লুমবার্গ বিলিওনারস ইনডেক্স অনুযায়ী জাকারবার্গের সম্পদমূল্য বেড়ে তিন হাজার ৪৫০ কোটি ডলারে উঠেছে।
জাকারবার্গের নেতৃত্বে ফেসবুক, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে। কারণ এসব দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেসবুকেরও আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকায় ফেসবুকের ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন; যাদের ৮০ শতাংশই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস