বিক্রি হচ্ছে জেমস বন্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এমজিএম

‘জেমস বন্ড’ চলচ্চিত্র যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে, সেই এমজিএম হোল্ডিংস এবার বিক্রি হতে বসেছে। সম্ভাব্য খরিদ্দারের খোঁজ নিজেরাই শুরু করেছে কোম্পানিটি।

বিজনেস ইনসাইডারের খবরে জানা গেছে, কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কোম্পানিটির বাজারমূল্য এখন ৫৫০ কোটি ডলার। ঋণের স্থিতি আমলে নেওয়ার পরই এমজিএমের মূল্য এতটা দাঁড়ায়।

অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল প্রযোজনা বা বাজারজাত করেছে এমজিএম। এর মধ্যে আছে ‘লিগ্যালি ব্লন্ড’ ও ‘আ স্টার ইজ বর্ন’-এর মতো জনপ্রিয় সব নাম। এতে কোম্পানিটির বাজারমূল্য আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে ‘জেমস বন্ড’ চলচ্চিত্রের জন্য এমজিএম সবচেয়ে বিখ্যাত। ‘জেমস বন্ড’ চলচ্চিত্র তারা অবশ্য একা প্রযোজনা করেনি, তাদের সঙ্গে হোল্ডিং কোম্পানি ডানজাকও ছিল। সম্প্রতি তারা স্ট্রিমিং সেবা এপিক্সও চালু করেছিল।

অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল প্রযোজনা বা বাজারজাত করেছে এমজিএম। এর মধ্যে আছে ‘লিগ্যালি ব্লন্ড’ ও ‘আ স্টার ইজ বর্ন’-এর মতো জনপ্রিয় সব নাম। এতে কোম্পানিটির বাজারমূল্য আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

এমজিএম আশা করছে, শুধু হলিউডের পরিচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোই নয়, আরও অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবে। তবে বিজনেস ইনসাইডার এ ব্যাপারে এমজিএমের মন্তব্য জানতে চাইলে রাজি হয়নি তারা।

তবে এবারই প্রথম নয়, সাম্প্রতিক অতীতেও এমজিএম খরিদ্দার খুঁজেছিল। ২০১৬ সালে চীনা এক কোম্পানি ৮০০ কোটি ডলারে এমজিএম কিনতে চেয়েছিল। চুক্তি প্রায় হয়েই গিয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব বদলে যায়।

দুই বছর আগে এমজিএমের সাবেক প্রধান নির্বাহী গ্যারি বার্বার অ্যাপলের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন বলে জানা যায়। তখন দাম উঠেছিল ৬০০ কোটি ডলার। কিন্তু কোম্পানিকে না জানিয়ে আগেভাগে এই আলোচনা করায় এমজিএম গ্যারি বার্বারকে পদচ্যুত করে। কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কেভিন আলরিচ বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছিলেন, ৮০০ কোটি ডলারের নিচে এমজিএম বিক্রি হবে না।

এদিকে মহামারিতে চলচ্চিত্রশিল্পও বড় ধাক্কা খেয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সব বন্ধই হয়ে গিয়েছিল, এ ছাড়া অনেক ছবি মুক্তির সময় পিছিয়ে দিতে হয়েছে। এমজিএমও সেই ধাক্কা থেকে রেহাই পায়নি। ‘বন্ড’ সিরিজের নতুন ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’-এর মুক্তির সময় নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তারা চায়, ছবিটি হলেই মুক্তি পাক। এমনকি এমজিএম সরাসরি স্ট্রিমিংয়ে আনতে চেয়েছিল ছবিটি। সে জন্য নেটফ্লিক্স ও অ্যাপলের কাছে তারা ৬০ কোটি ডলার চেয়েছিল। কিন্তু নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল এর অর্ধেক অর্থ দিতে চেয়েছিল।

এদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে ওয়ার্নার ব্রস আরেক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দেয়। তারা জানায়, ২০২১ সালে যত ছবি তারা মুক্তি দেবে, সেগুলো হলে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি স্ট্রিমিং সাইট এইচবিও ম্যাক্সেও মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু হলিউডের নেতৃস্থানীয় মানুষেরা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

‘টেনেট’ ছবির পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান বলেছেন, এইচবিও ম্যাক্স দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্ট্রিমিং সেবা।