বিটকয়েনকে বৈধতা দিল এল সালভাদর সরকার, বিক্ষোভে উত্তাল দেশ

বিটকয়েনকে বৈধতা দেওয়ায় এল সালভাদরে বিক্ষোভ
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েনকে বৈধতা দিয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। এখন থেকে দেশটিতে বিটকয়েনের বিনিময়ে লেনদেন চলবে। এ লক্ষ্যে দেশটির সরকার যে ডিজিটাল ওয়ালেট আপলোড করেছে, তা ডাউনলোড করলে প্রত্যেক নাগরিক ৩০ ডলারের সমপরিমাণ বিটকয়েন পাবেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তবে বিটকয়েনের বৈধতা দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে এল সালভাদর। গতকাল মঙ্গলবার হাজারের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ, প্রযুক্তিগত সমস্যায় তরতর করে পড়ে গেছে বিটকয়েনের দাম। এক দিনেই বিটকয়েনের দাম ৫২ হাজার ডলার থেকে কমে ৪৩ হাজার ডলারে নেমে এসেছে। এ কারণে লাতিন আমেরিকার দরিদ্র দেশটি হারিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ডলার।

ছবি: রয়টার্স

এল সালভাদর সরকার দেশজুড়ে ২০০ মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে বিটকয়েনকে ডলার এবং ডলারকে বিটকয়েনে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।

সরকার বলছে, এটি বৈধ করায় প্রতিবছর বিদেশ থেকে দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ফি সাশ্রয় হবে। যদিও বিশ্বব্যাংক ও দেশটির সরকারি তথ্য পর্যালোচনা করে বিবিসি বলছে, এটি ১৭ কোটি ডলারের মতো হবে।
প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে এক টুইটে বলেন, ‘আমাদের অতীতের দৃষ্টান্তগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। এল সালভাদরের বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার আছে।’

রাস্তায় বিক্ষোভ জনগণের
ছবি: রয়টার্স

তবে বিরোধী রাজনীতিবিদেরা বিটকয়েনকে বৈধতা দেওয়ার বিষয়টিকে সরকার ও দেশের জন্য ভালো হচ্ছে বলে মানতে পারছেন না। বিরোধী রাজনীতিবিদ জনি রাইট সোল বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে খুব কমই জানে। আমরা যা জানি তা হলো, এটি একটি খুবই অস্থিতিশীল বাজার।’

রাইট সোল বলেন, বিটকয়েন একটি উপযুক্ত জাতীয় মুদ্রা নয়। খুব তাড়াহুড়ো করা হলো। তিনি বলেন, ‘বিটকয়েন আইন সংসদে পাস করতে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েনবিদ্বেষী নই, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না যে এটি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত বা ব্যবসায়িক লেনদেন বিটকয়েনে গ্রহণ করতে বাধ্য করা উচিত। রাষ্ট্র এটা বৈধ করার ঝুঁকি নিচ্ছে অথচ দিন শেষে আমরা করদাতারাই রাষ্ট্রের অংশ।’