বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, টলে উঠেছে শেয়ারবাজার

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকগুলোর দর কমেছে প্রায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে এবং তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আঘাত হানবে, এমন উদ্বেগে বিশ্বজুড়েই টালমাটাল হয়ে পড়েছে শেয়ারবাজার। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকগুলোর দর কমেছে প্রায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ডাও জোন্স সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ কমেছে সাড়ে ৩ শতাংশ ও নাসডাক সূচকটি কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের শেয়ারবাজারও দেখেছে বড় পতন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রধান সূচক কমেছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। জার্মানির ডাক্স সূচকের পতন হয়েছে আরও বেশি, ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ফ্রান্সের সিএসি ৪০ ইনডেক্স কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে কমেছে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর। কারণ করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোই। তবে সেই সঙ্গে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানির শেয়ারের দরও ব্যাপক কমেছে। গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের শেয়ারের দর প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সের অন্যতম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেনল্টের শেয়ারের দাম কমেছে ৮ শতাংশ।

দরপতন হয়েছে ইউরোপের পুঁজিবাজারেও
ছবি: রয়টার্স

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারের নেতিবাচক প্রভাব আজ বৃহস্পতিবার গিয়ে পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। কমেছে হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচকও। গতকাল বুধবার জাপানের নিকেই সূচক কমে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারের নেতিবাচক প্রভাব আজ বৃহস্পতিবার গিয়ে পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে।
ছবি: রয়টার্স

এই সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবস থেকে বিশ্ব পুঁজিবাজার নেতিবাচক। এ সপ্তাহে অনেক দেশেই করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে একটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ফ্রান্স ও জার্মানি নতুন করে আবারও জনগণের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অপর দিকে এশিয়াতে এখন ভাইরাসের সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।