ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে বাম্পার বিক্রি

ছবি: রয়টার্স

যতই ব্ল্যাক ফ্রাইডে বর্জনের ডাক আসুক না কেন এবারও কেনাকাটা কমায়নি যুক্তরাজ্যের মানুষ। বরং এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে কেনাকাটা হয়েছে করোনার আগের চেয়েও অনেক বেশি। বার্কলেস ব্যাংকের বার্কলেকার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের চেয়ে এবারে ২৩ শতাংশ বেশি লেনদেন হয়েছে তাদের কার্ডে। তারা আরও বলছে, ২০১৯ সালের ব্ল্যাক ফ্রাইডের তুলনায় অর্থ প্রদানের পরিমাণ ২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অন্যদিকে পিডব্লিউসি হিসাব নিকেশ করে মনে করছে, যুক্তরাজ্যে গত শুক্রবার ৮৭০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করেছেন গ্রাহকেরা। যা লকডাউন চলাকালে গত বছরের ব্যয়ের দ্বিগুণ। এমনকি মহামারির আগে ২০১৯ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭৮০ কোটি পাউন্ড। ৬০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কই ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে কেনাকাটা করেছে। গড়ে প্রত্যেকে ২৮০ পাউন্ডের কেনাকাটা করেছে।

প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ শুক্রবার ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে পালিত হয়। এ বছর ২৬ নভেম্বর দিনটি পালিত হয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ দিনের সূচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’-এর পরের দিন পালিত হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। এ ব্ল্যাক ফ্রাইডের মাধ্যমে ক্রিসমাস শপিং মৌসুমের সূচনা হয়। খুচরা বিক্রেতাদের জন্য দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন সব দোকানপাটে অনলাইনে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়।
বার্কলেকার্ড পেমেন্টের প্রধান নির্বাহী রব ক্যামেরন বলেন, ‘এটা দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে যে সারা দিন ধরে বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত ছিল। খুচরা বিক্রেতারা খুশি হবে যে আজকের বিক্রি ২০১৯ সালের করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে।’

অবশ্য ব্ল্যাক ফ্রাইডে বর্জনের কথা বলে শুক্রবার বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিবেশবাদীরা। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আমাজন ভবনের সামনে জড়ো হন। তাঁরা বলতে চান ব্ল্যাক ফ্রাইডে হলো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার প্রতীক। এর আগে ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ স্বাধীন খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছিলেন এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অংশগ্রহণ করবেন না তাঁরা। আমাজনের মতো জায়ান্ট অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছোট ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।