ভারতে বাজেটে শুল্ক কমানোর ঘোষণা, কমে গেল সোনার দাম

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কথা রাখলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেটে কমিয়ে দিয়েছেন সোনা ও রুপার আমদানি শুল্ক। গতকাল সোমবার ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ভারতের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেটে সোনা ও রুপার ওপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বাজেটে নির্মলা সীতারমণ বলেন, সোনার ও রুপার আমদানি শুল্ক এখন ন্যূনতম সাড়ে ১২ শতাংশ। এর আগে এই শুল্ক ১০ শতাংশ ছিল। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শুল্ক বাড়িয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ করা হয়, যার জেরে দাম হু হু করে বেড়ে যায়। দাম কমানোর উদ্দেশ্যেই আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাজেটের এ ঘোষণার পরপরই ভারতের বাজারে স্বর্ণের দাম কমে গেছে। এপ্রিলে যে সোনা আমদানি হবে তার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ২ হাজার ১৩৬ রুপি কমে হয়েছে ৪৭ হাজার ২০১ রুপি। তবে বেড়েছে রুপার দাম।

এক ভরি স্বর্ণ সমান ১১.৬৬ গ্রাম স্বর্ণ। অর্থাৎ ১ ভরির দাম হচ্ছে প্রায় ৫৫ হাজার ৩৬ রুপি। ভারতে সোনার দামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় আমদানি শুল্ক এবং ৩ শতাংশ পণ্য ও সেবা কর (জিএসটি)। শুল্ক কমানোর পর সবকিছু যোগ করে মোট কর হচ্ছে ১৩.৭৫ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমলে স্বাভাবিকভাবেই সোনার দাম কমে আসে। এই পদক্ষেপ গ্রাহক পর্যায়ের জন্য সঠিক হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমলে দুই দিক দিয়ে লাভ হবে—একদিকে কমবে সোনা-রুপার দাম, অন্যদিকে অবৈধ পথে সোনা আমদানিও বন্ধ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের আয় বাড়বে।

২০১৯-এর ডিসেম্বরের দামের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে সোনার দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।