ভারতে স্টার্টআপের বাড়বাড়ন্ত

মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারত। গত অর্থ বছরে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও গত এক বছরে ভারতের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। বিনিয়োগও এসেছে অনেক।

সিএনএনের এক খবরে জানা গেছে, ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ভারতের ১১টি স্টার্টআপ কোম্পানি ইউনিকর্ন স্ট্যাটাস বা মর্যাদা পেয়েছে। অর্থাৎ তাদের কোম্পানি ভ্যালুয়েশন এক বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই এপ্রিল মাসেই পাঁচটি স্টার্টআপ এই মাইলফলক ছুঁয়েছে। অথচ ২০২০ সালে মাত্র ১৩টি কোম্পানি এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। এতে ভারতের ধনী প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সম্পদমূল্য বেড়ে যাচ্ছে।

মূলত বিশ্বের বৃহৎ বিনিয়োগকারী টাইগার গ্লোবাল ও সফট ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের কল্যাণে স্টার্টআপগুলোর এই বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। ভারতীয় স্টার্টআপগুলো শুধু বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগই নিয়ে আসছে না, তারা টাকা পাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে।

এমনকি ভারতের অন্যতম সফল স্টার্টআপ ফ্লিপকার্ট ও জোমাটো এ বছর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। এই কোম্পানিগুলো এখন আইপিওর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে সিএনএন তাদের কাছ থেকে এ নিয়ে মন্তব্য পায়নি।

কিন্তু এভাবে টাকা আসাটা আখেরে ভালো না–ও হতে পারে বলে মনে করেন অনেক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ। এত বিনিয়োগ আসলে মুনাফার হার কমে যেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। তাঁদের অভিমত, ভারতের স্টার্টআপ জগৎকে শিগগিরই দেখাতে হবে, তাদের জগতে বিনিয়োগ করলে ভালো মুনাফা মেলে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, সেই নজিরও স্থাপন করতে হবে। অনেকে মনে করেন, এত সহজে বিনিয়োগ আসলে ইউনিকর্ন মর্যাদা লাভ খেলো ব্যাপার হয়ে যায়।