ভারতের শেয়ারবাজারে সূচক বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে

ভারতের শেয়ারবাজারের সূচকগুলো বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কমায় এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করার কারণেই মূলত শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) ব্লুচিপ বা সুখ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের সূচক নিফতি ৫০ গতকাল মঙ্গলবার ৫৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৯০১ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) এসঅ্যান্ডপি সেনসেক্স সূচক ৩১৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ হাজার ৮৬৯ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। সেই সুবাদে দুটো সূচকই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।

এসকোয়ার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার্সের প্রধান নির্বাহী সম্রাট দাসগুপ্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এখন ধনসম্পদের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা চলছে। আমরাও ওই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোচ্ছি। তারল্য তথা নগদ অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার শুরু হবে এমন আশাবাদ দেখা দেওয়াতেই মূলত তেমনটা ঘটছে।’

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অধিকাংশ রাজ্য করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা লকডাউন বা বিধিনেষেধ গত সোমবার প্রত্যাহার করেছে। করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার কমে বিগত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় লডকাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতজুড়ে শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা কমে ৬০ হাজার ৪৭১ জনে নেমে এসেছে, যা গত ৩১ মার্চের পরে সর্বনিম্ন।
গতকাল মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যবৃদ্ধিতে অন্যদের চেয়ে এগিয়েছিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও এইচডিএফসি ব্যাংকের শেয়ার। এই দুটি কোম্পানির শেয়ারদর যথাক্রমে ১ দশমিক ৩ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম টানা পাঁচ দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ার, আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারদর আগের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) ১১টি খাতের মধ্যে গতকাল বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক সেবাসহ আট খাতেরই শেয়ারের দর সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিফতি বেসরকারি ব্যাংক সূচক ১ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে মেটাল, ফার্মা ও সরকারি ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির চাপ থাকায় এগুলোর দাম কমেছে।

গতকাল এশিয়ার প্রধান শেয়ারবাজারগুলোতেও চাঙা ভাব দেখা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারও ঊর্ধ্বমুখী।